ঢাকারবিবার , ২৩ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অপরাধ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আবহাওয়া
  4. কর্পোরেট বুলেটিন
  5. কৃষি সংবাদ
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জেলা সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. ধর্ম ও জীবন
  13. নাগরিক সংবাদ
  14. পদ্মাসেতু
  15. পাঁচমিশালি
আজকের সর্বশেষ সব খবর

সাভারে দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন খামারিরা

মো: রওশন আলী
জুলাই ১, ২০২২ ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশীয় পদ্ধতিতে স্টেরয়েড ইনজেকশনমুক্ত গরু মোটাতাজাকরণ করছেন সাভারের খামারিরা। তবে গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে গরু খামারিরা নায্য দাম পাওয়া নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

এ বছর কুরবানি উপলক্ষে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও পৌর শহরে ১২শ’র বেশি ছোট-বড় খামারে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। এসব পশু সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার দিয়ে পালন করেছেন খামারিরা।

১ যুগ ধরে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি-বিদেশি গরু মোটাতাজাকরণ করে আসছেন সাভারের বিরুলিয়া বাঘনীবাড়ির গ্রীন ফার্ম হাউজের মালিক মো: সাইদুল কুদ্দুস রনি। তিনি বলেন, চলতি বছর তার গরুর ফার্মে কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে দুই শতাধিক গরু মোটাতাজাকরণ করেছেন। তিনি তার খামারের গরুকে গ্রামীণ খাবার যেমন গমের ভূষি, ছোলা বুটের ভুষি, ভুট্টার ভূষি, নেপিয়ার ঘাস ও চিকন খড় খাওয়ান। তবে এবছরের মতো গোখাদ্যের দাম আর কখনো এতো বৃদ্ধি পায়নি। এই বছর গোখাদ্যের দাম যে পরিমাণ বেড়েছে তা আসলেই দুশ্চিন্তার বিষয়।

আশুলিয়ার গণকবাড়ী শ্রীপুরের কাইয়ুম এগ্রো প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, এই বছর আমার খামারে কুরবানির ঈদে বিক্রিযোগ্য ছোট-বড়-মাঝারি মিলে ৪০০টি পশু রয়েছে। এদের মধ্যে গরু ২৫০টি এবং মহিষ রয়েছে ১৫০টি।
এছাড়া বেশকিছু বড় জাতের ছাগল ও ভেড়া রয়েছে তা ঈদ উপলক্ষ্যে মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। এই খামারে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে দেশীয় খাবার দিয়ে পালন করা হয়েছে। খাদ্যতালিকায় রয়েছে কাঁচা ঘাস, খড়, গমের ভুসি, ধানের কুঁড়া, ভুট্টা, ডালের গুঁড়া, তৈলবীজের খৈল, ছোলা, চিটাগুড় ও খুদের ভাত।

এই খামার থেকে কোনো ক্রেতা যদি গরু কিনেন তাহলে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত তারা গরু লালন পালন করে দেবেন। তার খামারে রয়েছে ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ নামের দেশের সবচেয়ে বড় ষাঁড় মহিষ। এছাড়া রয়েছে আকর্ষণীয় বড় বড় বিভিন্ন জাতের গরু।

এ বিষয়ে সাভার উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল মোতালিব বলেন, এই বছর উপজেলায় ১২শ’র বেশী ছোট-বড় খামারে প্রায় ৯ হাজার গরু, মহিষ মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। তা দিয়ে এই বছর উপজেলায় যে পরিমাণ পশুর চাহিদা রয়েছে সেই কুরবানির চাহিদা পূরণ করবে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে সব ধরনের পরামর্শ ও সেবা প্রদান করে খামারিদের সহযোগিতা প্রদান করেছেন। তবে এবছর গোখাদ্যের দাম গত বছরের তুলনায় বেশি থাকায় খামারিরা তাদের পালিত গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার নায্য দাম পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বলে তিনি জানান।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- news.jagobulletin@gmail.com