
নীলফামারীর ডিমলায় আগাম জাতের ধান কাঁটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে কয়েকদিন আগেই। বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহনশীল আমনের ভালো ফলন হয়েছে। বর্তমান বাজারে ভালো দাম থাকায় কৃষকরাও বেজায় খুশি।
এদিকে উঠতি ধানের খড়ের দামও অনেক চড়া। তাই বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। আগাম জাতের ধান আবাদ করে আবার সেই জমিতে আগাম জাতের আলু ও মৌসুমি রবিশস্য আবাদের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন কৃষকেরা।
সোমবার (১৭ই অক্টোবর) সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ এলাকার কৃষক আব্দুল জব্বার মুন্সি জানান, তিনি ১ একর জমিতে কোঠরাপাড়ি জাতের ধান লাগিয়েছিলেন। ফলনও পেয়েছেন ৭০ মন। প্রতি মন ধান বিক্রি করেছেন ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকা মণ দরে। তাছাড়া ধানের পাশাপাশি খড় বিক্রি করেও দাম পেয়েছেন অনেক বেশি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এবার উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে ২০ হাজার ৪ শত ৩৮ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। তারমধ্যে স্থানীয় জাতের ধান ১৮৭ হেক্টর, হাইব্রিড জাতের ধান ৫ হাজার ২ শত হেক্টর এবং উফশী জাতের ১৫ হাজার ৫২ হেক্টর জমিতে বিনা-৭, বিনা-১৬, বিনা-১৭, বিনা-২০ ও ব্রি-ধান-৭৫, ব্রি-ধান-৮৭ এবং কালোজিরা- ধান কর্তন করা হচ্ছে।
টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের বার্নির ঘাট এলাকার কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, তিনি এবার ২ একর জমিতে আগাম জাতের ধান আবাদ করে বেশ ভালো ফলন পেয়েছেন। বর্তমানে সেই জমিতে তিনি আগাম জাতের আলু চাষ করে পরবর্তীতে একই জমিতে ভুট্টা চাষ করবেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকতা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী দৈনিক আজকের দর্পণ কে জানান, আগাম জাতের বিনা-ধান ১৬, ১৭ব্রি-ধান ৭৫, ৮৭ ও কোটরাপারি জাতের ধান ইতিমধ্যে কাঁটা শুরু হয়েছে। কৃষকেরা দামও ভালো পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছর ডিমলা উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তাগণ মাঠ পর্যায়ে আমন চাষিদের পরামর্শ দিয়ে এবং আগাম জাতের আলু, ভুট্টা, সরিষা ও শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদনের জন্য উৎসাহিত করছেন।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- news.jagobulletin@gmail.com
