নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠে এখন হলুদের ঢেউ। সরিষার এই ফলনে কৃষকের চোখেমুখে আনন্দের আভা ফুটে উঠেছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়- ফসলের মাঠগুলো সরিষা ফুলের হলুদ রঙে অপরূপ শোভা ধারণ করেছে। মাঠে পরিচর্চার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ৯৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর এ উপজেলায় ৮২০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিল। সেই হিসেবে চলতি মৌসুমে এবার সরিষার আবাদ বেড়েছে।
উপজেলার পশ্চিম খড়িবাড়ি এলাকার কৃষক হাফিজার সরকার বলেন, ডিমলা উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের সহায়তায় এই প্রথম আমাদের এলাকায় কৃষি ব্লকের মাধ্যমে ১০-২০ একর জমিতে সরিষা আবাদ করেছি, ফলনও ভালো হয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা অনেককেই সরিষার বীজ দিতে পারব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) মো. সেকেন্দার আলী বলেন, ডিমলায় এবার পূর্বের তুলনায় সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়া অনূকূলে তাই ভালো ফলনের আশা করছি। এছাড়া তেল জাতীয় ফসলের বৃদ্ধি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্লট ভিত্তিক প্রদর্শনী করা হয়েছে। একই কৃষক সরিষা চাষের পরে বোরো ধান এবং আমন ধান করার জন্য উপকরণ পাবে। এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে ভোজ্য তেল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা। দেশে প্রতি বছর ২৪ হাজার ৮ শত কোটি টাকার ভোজ্যতেল আমদানি করা হয়। দেশে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি হলে, দেশ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে। বাঁচবে বৈদেশিক মুদ্রা, দেশ হবে স্বনির্ভর।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com