নীলফামারীর ডিমলায় বিভিন্ন এলাকায় গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে জাতীয় ফল কাঁঠাল। তবে স্থানীয় বাজারে কাঁঠাল না উঠলেও আগামী দেড় থেকে ২ মাসের মধ্যে ক্রয় বিক্রয় শুরু হবে বলে জানা যায়।
ডিমলা উপজেলার কাঁঠাল মিষ্টি রসালো ও স্বাদে অতুলনীয় হওয়ায় এর কদর ও রয়েছে বেশ ভাল। তাই নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করা হয়ে থাকে। এখন পর্যন্ত গাছে কাঁঠালের যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে ফলন ভাল হবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে কাঁঠাল’র ভালো ফলন হয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে গিয়ে দেখা যায় গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে কাঁঠাল। গ্রামগুলোর মধ্যে খালি জায়গা, পুকুর পাড়, রাস্তার ধারে ও বাড়ির আঙ্গিনায় রয়েছে অসংখ্য কাঁঠাল গাছ। কোন গাছের গোঁড়া থেকে আগা পযর্ন্ত শোভা পাচ্ছে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ জাতীয় ফল কাঁঠাল।কোন কোন গাছে ২০ থেকে ৩০টির মতো কাঁঠাল ধরেছে। এ উপজেলাকে যেন এক প্রকার প্রকৃতি দিয়ে যেন সাজানো হয়েছে। দেড় থেকে ২ মাস পরেই মন কাড়ানো লোভনীয় কাঁঠাল ফলের গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠবে স্থানীয় হাট বাজার। কাঁঠাল গ্রীষ্ম মৌসুমের একটি জনপ্রিয় ফল।
চিকিৎসকদের মতে, কাঁঠালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি, ভিটামিন ই- ক্যালসিয়াম ফলিক এসিড রয়েছে। টাটকা ফলে পটাশিয়াম ম্যাগনোশিয়াম এবং আয়রনের একটি ভাল উৎস। তাছাড়া পটাশিয়াম হার্টের গতি ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পাকা কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণ আঁশ রয়েছে। ফলে পাঁকা কাঁঠাল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- news.jagobulletin@gmail.com