সাভার উপজেলায় ঘরে ঘরে জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে আনারস অত্যন্ত কার্যকর। এ কারনে চাহিদার সঙ্গে বেড়েছে আনারসের দাম।
সাভার-আশুলিয়ার হাট-বাজারগুলোতে আনাসের দাম এখন আকাশচুম্বী। ইচ্ছেমতো দাম আদায় করছেন বিক্রেতারা। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) পৌর এলাকার বিভিন্ন ফলবাজার, আড়ত ও দোকানগুলোতে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বাজারে মাঝারি ধরনের প্রতি পিস আনারস ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আকারে একটু বড় হলেই দাম হাকানো হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা জোড়া। আকারে যত ছোটই হোক প্রতি পিস আনারসের সর্বনিম্ন দাম ৫০ টাকা। অথচ প্রতিবছর এ মৌসুমে বড় আকারের আনারসগুলোর দাম থাকতো ৫০-৬০ টাকা। এদিকে পাইকারি বাজারে প্রতি পিস আনারস ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে এমন অস্বাভাবিক দামে হাত পুড়ছে নিম্নবিত্তদের। আনারসের আকাশচুম্বী দামের কারণে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সাধ্যের বাইরের ফল হয়ে দাঁড়িয়েছে আনারস।
বাজার বাস স্ট্যান্ডে আনারস কিনতে আসা আলমঙ্গীর নামে এক দিনমজুর বলেন, বাসায় বেশ কয়েকজনের জ্বর। বাজারে এসেছিলাম আনারস কিনতে, কিন্তু বিক্রেতা প্রতি জোড়া আনারসের দাম চাচ্ছেন ২০০ টাকা। সাধ্যের বাইরে থাকায় কিনতে পারিনি। এ মুহূর্তে পরিবারের জন্য আনারস কিনতে পারছেন না নিম্নবিত্তরা।
ব্যাংক টাউন এলাকা থেকে আসা অপর ক্রেতা বদিউল আলম জানান, মৌসুমি জ্বরকে পুঁজি করে খুচরা বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। অথচ বাজারে মনিটরিং নেই, নেই কোনো প্রশাসন কিংবা ভোক্তা অধিকারের অভিযান। ফলে ইচ্ছেমতো পকেট কাটছেন এসব অসাধু বিক্রেতারা।
সিটি সেন্টারের সামনে আনারস বিক্রেতা আমীর জানান, বাজারে সব ফলের দামই বাড়তি। তবে আনারসের প্রচুর চাহিদা, আবার উৎপাদন কম ও পণ্য পরিবহন খরচ বেশি পড়ছে, তাই দামও বেশি।
গেন্ডা বাস স্ট্যান্ডে ভ্যানে আনারস বিক্রি করা কামরুল বলেন, আড়ত থেকে প্রতি পিস আনারস কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকা করে। তবে প্রচুর চাহিদা থাকায় খুচরা বাজারে দাম বেশি। একই জায়গার আনারস বিক্রেতা সাগর ও রহমত বলেন, দাম বাড়লেও আনারসের বিক্রি কমেনি। মাঝারি এই আনারসের পিস বিক্রি করেছি ৬০-৭০ টাকা। এখন আড়ত থেকেই আমাদের কিনতে হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকার ওপরে। হুট করে আনারসের এমন দাম বাড়ায় আমরাও অবাক।
গেন্ডা নতুন বাজার ফল আড়তের পাইকারি বিক্রেতা জুয়েল সরকার বলেন, প্রতিদিন মধুপুর থেকে ট্রাকে করে আনারস নিয়ে আসি সাভারে। মধুপুরে আনারসের দাম প্রতিদিন ওঠানামা করে। মালের সরবরাহ ও চাহিদার ওপর দাম নির্ভর করে। এছাড়া গাড়ী ভাড়া, রোড খরচ এবং লেবার খরচ দিয়ে আমাদেরও অনেক পড়ে যায়। তাই বাজার হিসেবে আমরা প্রতি পিস আনারস ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০ টাকা পর্যন্ত পাইকারি বিক্রি করছি।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com