পূজা উপলক্ষে বুড়িমারী স্থলবন্দর নয়দিন বন্ধ থাকবে

জেলায় বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি- রপ্তানি কার্যক্রম  শারদীয় দুর্গাপূজা, কালীপূজা ও ছটপূজা উপলক্ষে নয়দিন বন্ধ থাকবে। তবে ওই সময়ে স্থলবন্দরে পুলিশের অভিবাসন (ইমিগ্রেশন) চৌকি খোলা থাকবে ও পাসপোর্টধারী যাত্রীরা চলাচল করতে পারবেন।
বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২১ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ছয়দিন, কালীপূজা উপলক্ষে ১২ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত দুইদিন এবং ছটপূজা উপলক্ষে ১৯ নভেম্বর একদিন স্থলবন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
আজ বুধবার দুপুরে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িমারী স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) গিয়াস উদ্দিন।
তিনি জানান, শারদীয় দুর্গাপূজায় স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ রাখার ব্যাপারে চ্যাংড়াবান্ধা এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন, চ্যাংড়াবান্ধা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন চিঠি দিয়ে জানিয়েছে। তিনটি পূজার কারনে পৃথকভাবে মোট নয়দিন স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) গিয়াস উদ্দিন জানান, বাংলাদেশের বুড়িমারী স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর। চ্যাংড়াবান্ধা এক্সপোর্টার এসোসিয়েশন, চ্যাংড়াবান্ধা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ও ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশনের যৌথসভা শেষে পূজায় বন্ধের বিষয়টি চিঠি দিয়ে বাংলাদেশের বুড়িমারী স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন (কাস্টমস কর্তৃপক্ষ) ও বন্দর কর্তৃপক্ষ, বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক  এসোসিয়েশন ও  ইমিগ্রেশন পুলিশ এবং ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর ও ভুটান স্থল শুল্ক স্টেশন (কাস্টমস) কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ সময় বুড়িমারী স্থলবন্দর ও  চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে সবধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এদিকে, বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের  উপ-পরিদর্শক (এসআই) মীর হাসান কবির জানান, পূজা উপলক্ষে উভয় দেশের স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও  দুইদেশের পুলিশ অভিবাসন (ইমিগ্রেশন) চৌকি খোলা থাকবে ও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।