
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রমজানকে ঘিরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমলেও ব্যতিক্রম বাংলাদেশ। সারাদিন রোজা রাখার পর তৃষ্ণার্ত হৃদয়ে এক গ্লাস লেবুর শরবত যেন মরুভূমিতে এক পশলা বৃষ্টি। তীব্র গরমে দিন শেষে ইফতারে এমন স্বস্তির পরশ পেতে চায় সব রোজাদারই।
কিন্তু শত ইচ্ছে থাকলেও এই রমজানে ঠাকুরগাঁওয়ে বেশিরভাগ মানুষই কিনতে পারছেন না ইফতারের নিত্য অনুষঙ্গ লেবু।
দুই দিন আগেও যে লেবু প্রতি পিচ ৩-৫ টাকায় বিক্রি হতো সেটিই এখন প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়।
শুধু লেবু নয় ইফতারের অত্যাবশ্যকীয় উপাদান শসা, গাজর, পুদিনা-ধনে পাতাও আছে দাম বৃদ্ধির তালিকায়।এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মধ্য ও নিম্নবিত্তের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে।
সেখানে রোজায় ছোটখাটো এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধি অস্বস্তিতে ফেলেছে সাধারণ ক্রেতাকে। সংযমের মাস রমজানে পণ্যের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
সোমবার (৪ এপ্রিল) সরেজমিন জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রধান কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে সব দোকানেই পণ্যের যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে। তারপরেও ব্যবধানে পণ্যের দাম বেড়েছে কয়েকগুন বেশি।
লেবু কিনতে আসা রিপন আলি বলেন, শুধু রমজানের সময়ে নয় আমি বাসায় নিয়মিত লেবু খাই। ২দিন আগেও বাজার থেকে লেবু কিনলাম ১৫-২০ টাকা হালি দরে। আজ তা ৬০ টাকায় নিতে হচ্ছে। রোজা মধ্যে এমন কি হলো যে লেবুর দাম আটগুন হবে?
এটা আর কিছুনা, অতি মুনাফালোভীরা রোজার সুযোগ নিচ্ছে এর জন্য ব্যবসায়ীরা দায়ী। জানতে চাইলে লেবু বিক্রেতা মাজেদ আলী ,‘আসলে আমরা কেউ ইচ্ছে করে দাম বাড়াতে পারি না। বেশি দামে কিনে আনতে হয় বলেই আমাদের বেশি দামে বিক্রি করি এখানে আমাদের কিছু করার থাকে না আমাদের তো কিনা দামের চেয়ে কম দামে লোকসান দিয়ে বিক্রি করা সম্ভব না ’ এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সহকারি পরিচালক জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মোহাম্মদ শেখ সাদী জানান কিছু দ্রব্য যা রোজার সময়ে লেবু সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদা থাকে বেশি এ জন্য বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে তবে কিছুদিন গেলেই ঠিক হয়ে যাবে। রোজার নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক হলেই ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- news.jagobulletin@gmail.com
