সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার সলপের ঐতিহ্যবাহী ঘোলের দোকানগুলোতে চলছে জমজমাট ব্যবসা। রমজানের শুরু থেকেই ঘোলের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। এ কারণে ঘোল কারখানার কর্মীদের কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে অনেক। উল্লাপাড়া ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বেলকুচি, কামারখন্দ, সিরাজগঞ্জ সদর শাহজাদপুর উপজেলা থেকেও ক্রেতার প্রতিনিয়তই সলপ স্টেশনে ঘোল ও মাঠা কিনতে আসেন। প্রতি কেজি ঘোল বিক্রি হচ্ছে আগের মতই ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং মাঠা ৯০ থেকে ১০০ টাকা।
জানা যায়, ব্রিটিশ আমল থেকে তৎকালীন সলপ সান্যাল জমিদের পৃষ্ঠপোষকতায় সলপে ঘোলের কারখানা গড়ে ওঠে। প্রতিষ্ঠাকালীন সলপ থেকে কলকাতা যেত এই ঘোল। সেই সময় থেকেই সলপের ঘোলের খ্যাতি ছড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতে। এখনো সলপের ঘোল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চাহিদা রয়েছে।
প্রযুক্তি ও সভ্যতার বিকাশে এখন ফ্রিজিং করে ঘোল পাঠানোর ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে ক্রেতারা নিশ্চিন্তে ঘোল নিয়ে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে। সলপে এখন ৬ থেকে ৭টি ঘোলের কারখানা রয়েছে প্রতিদিন ১ শত থেকে দেড় শত মনের বেশি ঘোল উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত এ ঘোল নিয়মিতই বিক্রি হয়ে থাকে।
সিরাজগঞ্জ শহরের ঘোল ক্রেতা হাফিজুর রহমান, শাহানা পারভীন জানান, এই রোজায় প্রতিদিনই আমরা ঘোল ক্রয় করি। শহরের বিভিন্ন এলাকাতে সলপের ঘোল বিক্রি হচ্ছে।
কয়েকজন ঘোল বিক্রেতা জানান, রমজান মাসে তাদের ঘোলের চাহিদা অনেক বেশি। বিশেষত সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা এখান থেকে পাাইকারি দরে ঘোল কিনে নিয়ে যান। রমজানে ঘোলের চাহিদা বাড়লেও দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসায়ীরা। চলতি রমজানে প্রতিদিন শতাধিক মন ঘোল বিক্রি হচ্ছে বলে জানান ঘোল ব্যবসায়ীরা।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- news.jagobulletin@gmail.com