ঢাকাসোমবার , ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অপরাধ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আবহাওয়া
  4. কর্পোরেট বুলেটিন
  5. কৃষি সংবাদ
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জেলা সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. ধর্ম ও জীবন
  13. নাগরিক সংবাদ
  14. পদ্মাসেতু
  15. পাঁচমিশালি
আজকের সর্বশেষ সব খবর

ঝালকাঠিতে দিনের চাইতে রাতে মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড়

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
এপ্রিল ২৯, ২০২২ ৭:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঝালকাঠিতে দিনের চাইতে রাতে মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যাচ্ছে বেশি। বিশেষ করে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। ক্রেতারা বলছেন, দিনের বেলায় কর্মক্ষেত্রে থাকা, ভ্যাপসা গরম এবং রমজানে ভিড় এড়াতে রাতে কেনাকাটা করতেই স্বাচ্ছন্দ্য তাদের।

বিপণিবিতানগুলোর ভেতরে পোশাকের সমাহার আর বাইরে ঝলমলে রঙিন বাতি যা নজর কাড়ছে ক্রেতা সাধারণের। নানান পোশাকের নিত্য নতুন কালেকশন নিয়ে পসরা সাজিয়েছে ফ্যাশন হাউজগুলো। ফুটপাতেও বিকিকিনি চলছে বেশ। মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঝালকাঠির বিভিন্ন এলাকার বিপণিবিতান ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

জামা কিনতে আসা মো. তৌহিদুল বলেন, পরিবার নিয়ে রাতে বের হয়েছি। গত ৪ দিনের খড়তাপে ঘরে থাকাই কষ্টকর। রোজা রেখে দিনে কষ্ট হয়ে যায়।

আরেক ক্রেতা বেলায়েত হোসেন বলেন, দিনে এতোটাই গরম থাকে স্ত্রী ও ছোট বাচ্চা নিয়ে বের হওয়া সম্ভব না। তাই পোনাবালিয়া গ্রাম থেকে রাতে কেনাকাটা করতে আসছি।

পৌর শহরের কাঠপট্টি এলাকা থেকে আসা সাদ্দাম হোসেন বলেন, দিনে গরম বেশি, তাই সবাই এখন রাতে আসে বিপণিবিতানে। তাতে রাতে মার্কেটে যে গ্যাদারিং হয়, এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়েও আমরা চিন্তিত।

জারা কসমেটিকসের মালিক জহিরুল ইসলাম বলেন, কসমেটিকস কেনাবেচা এখনো বাড়েনি, সবাই জামা-কাপড় ও জুতা কেনাকাটা শেষ করে কসমেটিকস কিনবে। তার ওপর প্রচণ্ড গরম। গরমে আশানুরূপ বেচাকেনা এখনো শুরু হয়নি।

সুহা কসমেটিকস এবং লাবনী ষ্টোরের মালিক সিরাজ ও রুবেল জানালেন একই কথা। তাদের আশানুরূপ বেচাকেনা এখনো শুরু হয়নি। তাপদাহ থাকায় কেনাকাটা করতে মানুষ দিনে কম বের হয়, আর রাতে কাষ্টমার থাকে ৪ ঘণ্টা।

পাদুকা দোকানি লিটন বলেন, বৃষ্টি হলে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকত। এতে দিনে মানুষ বাড়ত, বেচাকেনাও কিছুটা ভালো হত।

ঈদ বাজারে জেলার মার্কেটগুলোতে আস্তে আস্তে ভিড় বাড়ছে। বিক্রেতারা কেউ কেউ বলছেন, আশানুরূপ বেচাকেনা হচ্ছে না আবার কেউ কেউ সাড়া পাচ্ছেন ভালোই।

কুমারপট্টি এলাকার হাজী জয়নাল কমপ্লেক্সের শরীফ বস্ত্র বিতানের প্রোপাইটর মো. শামিম শরীফ বলেন, সাধারণ কাষ্টমারের ক্রয় ক্ষমতার দিক বিবেচনা করে দোকানে মালামাল তুলেছি, ৫০০ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকার মধ্যে ছেলে-মেয়েদের পোশাক তুলেছি। বেচাকেনায় বেশ ভালোই সাড়া পাচ্ছি।

কুমার পট্টির পোশাকের দোকান ‘রঙ’ এর মালিক মো. রাকিব হোসেন বলেন, ‘গত দুই দিন বিক্রি বেড়েছে। তবে কাষ্টমারদের একটা অংশ অনলাইনে শপিং করছেন। আমাদের দোকানে এসেও অনলাইনের মতো পণ্য চাচ্ছেন।

কসমেটিকস ব্যাবসায়ীরা জানান, ক্রেতারা আগে পোষাক ও পদুকা কিনবে তারপর কসমেটিকস। তাই পোশাক ও পাদুকার দোকানে কিছুটা ভিড় থাকলেও তাদের দোকানগুলোতে তুলনামূলক বিক্রি কম।

জারা কসমেটিক্স এর মালিক জহিরুল ইসলাম বলেন, সবাই এখন জামা-কাপড় ও জুতা কিনছে। এগুলো শেষ করে কসমেটিকস কিনবে। আমাদের আশানুরূপ বেচাকেনা এখনো শুরু হয়নি।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com