ঢাকামঙ্গলবার , ৮ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অপরাধ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আবহাওয়া
  4. কর্পোরেট বুলেটিন
  5. কৃষি সংবাদ
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জেলা সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. ধর্ম ও জীবন
  13. নাগরিক সংবাদ
  14. পদ্মাসেতু
  15. পাঁচমিশালি
আজকের সর্বশেষ সব খবর

কটিয়াদীতে খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা, ভরা মৌসুমেও মিলছেনা কাঙ্খিত রস

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ২১, ২০২২ ৩:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শীতের মৌসুমে স্থানীয় বাজারে বেড়েছে খেজুরের রসের চাহিদা। কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা। প্রতিদিন ভোর বেলায় গাছিদের কাছে খেজুরের রস খাওয়ার জন্য ভিড় করছেন সাধারন মানুষ। অনেকেই খেজুরের রস সংগ্রহ করেন সু-স্বাধু পাটুলি গুড়ের জন্য। উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের চারিপাড়া গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গাছি মোঃ রমজান আলী খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করছেন। রস সংগ্রহের জন্য খেজুর গাছের মাথার দিকে সাদা অংশ কেটে গাছের ডগার দিকের কান্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে চোঙ বসিয়ে দেওয়া হয়। রস সংগ্রহের জন্য মাটির কলসি ও প্লাস্টিকের বোতল ঝুলিয়ে রাখা হয়। বাদুড়ের সংস্পর্শ এড়াতে রস সংগ্রহের স্থানে বাঁশের বেড়া দিয়ে প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গাছি মোঃ রমজান আলী বলেন, প্রতিদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে গাছ থেকে মাটির কলসি ও প্লাস্টিকের বোতল থেকে রস সংগ্রহ করে থাকি। শীত মৌসুমে কাঙ্খিত রসের সন্ধ্যান পাচ্ছি না। গ্রামে দিন দিন কমে যাচ্ছে খেজুর গাছের সংখ্যা। খেজুর গাছ সংরক্ষনের জন্য সরকারি ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে পিঠা-পুলি ও পায়েসে খেজুর রস ও গুড়ের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সে সময় আমাদের লাভ একটু বেশি হয়। যে পরিমাণে শ্রম দিতে হয়, সে তোলনায় আমরা লাভ করতে পারি না। তবুও পেশাগত কারণে চালিয়ে যাচ্ছি এই ব্যবসা।
খেজুরের গাছ কম থাকায় এখন শুধু রস বিক্রি করা হয়ে থাকে। খেজুরের রস খেতে যারা আগ্রহী তারা ভোর হওয়ার সাথে সাথেই ছুটে আসেন চারিপাড়া গ্রামে। প্রতি গ্লাস রসের দাম ২০ টাকা ও প্রতি লিটার ৮০ টাকা।
এ প্রসঙ্গে চারিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সালাহ উদ্দিন নবাব জানান, এক সময় আমাদের গ্রামে অনেক খেজুর গাছ ছিল। গাছ গুলো থেকে প্রচুর রস কিনতে পাওয়া যেত। খেজুর গাছের সংখ্যা দিন দিন কমে যাওয়ার কারনে এটি এখন বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে। খেজুর গাছ রক্ষায় যথাযথ কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাজরীনা তৈয়ব বলেন, খেজুরের রস পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়া জরুরি। খেজুরের রস নিপা ভাইরাস মুক্ত রাখতে আগুনে ৭০ থেকে ৮০ ডিগ্রি সেলিসিয়াস তাপ মাত্রায় ফোটানো হলে এরমধ্যে থাকা জীবাণু, লার্ভাসহ সবই ধ্বংস হয়ে যায়। খেজুরের রস ফুটিয়ে পান করা নিরাপদ।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com