ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৮ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  1. অপরাধ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আবহাওয়া
  4. কর্পোরেট বুলেটিন
  5. কৃষি সংবাদ
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জেলা সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. ধর্ম ও জীবন
  13. নাগরিক সংবাদ
  14. পদ্মাসেতু
  15. পাঁচমিশালি
আজকের সর্বশেষ সব খবর

কৃষ্ণচূড়ার রূপে সেজেছে লংগদু মডেল কলেজের ক্যাম্পাস

বিপ্লব ইসলাম
মে ৭, ২০২৩ ১০:১০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

রাংগামাটি জেলার লংগদু উপজেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ লংগদু মডেল কলেজের ক্যাম্পাস যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি। একেক ঋতুতে এখানে একেক ফুলের একেক রকমের সাজ দেখা না গেলেও । এবার গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে কৃষ্ণচূড়ার রূপে সেজেছে।

দূর থেকে দেখলে মনে হবে গ্রীষ্মের খরতাপের অশান্তিতে খানিকটা প্রশান্তির বার্তা নিয়েই কৃষ্ণচূড়ার আগমন ঘটেছে। ক্যাম্পাসে সবুজের মাঝে এর লাল আভা দেখে মনে হয় আগুন জ্বলছে।মাঠের পাশে কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম পরিবেশ নৈসর্গিক সৌন্দর্যেরই জানান দিচ্ছে।

লংগদু মডেল কলেজের প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই মাঠের পাশে কৃষ্ণচূড়াগাছের দেখা মিলবে। এছাড়াও উপজেলার প্রায় প্রতিটি এলাকাতেই কমবেশি কৃষ্ণচূড়া গাছ রয়েছে।

লংগদু কলেজ ক্যাম্পাসে সবুজের মাঝে কৃষ্ণচূড়ার লাল আভা দেখে মনে হয় আগুন জ্বলছে লংগদু কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ইমাম হোসেন আরাফাত বলেন, ‘ক্যাম্পাসের অনিন্দ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বিশেষকরে কৃষ্ণচূড়া ফুল বরাবরই আমাকে আকর্ষণ করে, আন্দোলিত করে। নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটায়। নতুনভাবে বাঁচতে শেখায়।

শুধু ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থী নয়, এই ফুলের সৌন্দর্য দেখে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে চলা পথচারীরাও।

কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী আল মাহমুদ এই পথ ধরেই চলাচল করেন প্রতিনিয়ত গাছের নিচে তাকে দেখে গাছটি সম্পর্কে যানতে চাইলে ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে তিনি বলেন, ‘গ্রীষ্মের তপ্ত রোদে দূর থেকে এই ফুল দেখে মনে হয়, গাছে যেন আগুন ধরেছে। এই ফুল প্রশান্তি জাগিয়েছে আমার মনে। আর বৃষ্টি হলেতো কথাই নেই। তখন এর সৌন্দর্য আরও বহুগুণ বেড়ে যায়।’

কৃষ্ণচূড়া একটি ভিনদেশি ফুল। পূর্ব আফ্রিকার মাদাগাস্কারে এর আদি নিবাস। এটি ১১-১২ মিটার লম্বা হয়ে থাকে। তবে এর শাখা-প্রশাখা অনেক দূর পর্যন্ত ছড়ানো থাকে। বাংলাদেশে এপ্রিল-জুন মাসে ফুলটির দেখা মেলে। সাধারণত বসন্তকালে এই ফুলটি ফুটলেও তা জুন-জুলাই পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে কৃষ্ণচূড়া লাল, হলুদ ও সাদা–এই তিন রঙের হয়ে থাকে। লাল ও হলুদ রঙের দেখা মিললেও সাদা রঙের কৃষ্ণচূড়ার দেখা মেলে কালেভদ্রে। তিন রঙের ফুলই প্রায় একই সময়ে ফোটে।

উল্লেখ্য যে, কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিখ রেজিয়া। এটি ফাবাসিয়ি পরিবারের অন্তর্গত, যা গুলমোহর নামেও পরিচিত। এর ফুলগুলো সাধারণত বড় চারটি পাপড়িযুক্ত হয়। পাপড়ি প্রায় ৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। সৌন্দর্যবর্ধক গুণ ছাড়াও, এই গাছ উষ্ণ আবহাওয়ায় ছায়া দেয়।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com