পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন গোষ্ঠিসমূহের প্রধানতম সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসব বৈসাবির আনন্দে ভাসছে পাহাড়ি জনপদ। আগামী বৃহষ্পতিবার থেকে মারমাদের সাংগ্রাইং শুরু। এ উপলক্ষে সকালে পানখাইয়া পাড়া বটতল প্রাঙ্গন থেকে বর্ণাঢ্য সাংগ্রাইং শোভাযাত্রা বের করা হয়।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) সকালে উৎসবের উদ্বোধন করেন শরনার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। এসময় পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, খাগড়াছড়ি সদর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন পিএসসি, খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, মহা সাংগ্রাই উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক উচিং মং মারমাসহ সরকারী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, শুধুমাত্র বৈসাবি নামকরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবেনা। কারণ বৈসাবি দিয়ে তিনটি সম্প্রদায়ের উৎসবকে বোঝানো হয়। কিন্তু পাহাড়ে প্রায় ১০ থেকে ১২টি সম্প্রদায় রয়েছে। যারা কিনা ভীন্ন ভীন্ন নামে উৎসব পালন করে থাকে। আমরা পাহাড়ী-বাঙ্গালী সব সম্প্রদায় এক হয়ে উৎসব পালন করতে চাই।
আমাদের মধ্যে যেন কেউ ভেদাভেদ তৈরি করতে না পারে সে ব্যাপারে স্বোচ্ছার থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যুগ যুগ ধরে আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রেখে বসবাস করছি। তা আমাদের ধরে রাখতে হবে। পাহাড়ের বিরাজমান পরিস্থিতি যারা ঘোলাটে করার অপচেষ্টা করছে তাদের বিষয়ে সজাগ থাকারও আহ্বান জানান তিনি।
এসময় কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। পরে শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। মারমারা বর্ণিল সাজে অংশ নেন। তারা নেচে গেয়ে শহরকে উৎসবমূখর করে তুলেন। শোভযাত্রাটি পুনঃরায় বটতলায় ফিরে এসে সাংগ্রাই এর প্রধানতম আকর্ষণ মৈত্রীময় জলবর্ষন বা জলকেলীতে অংশ নেয়।
আজ চাকমা সম্প্রদায় মূল বিজু, ত্রিপুরারা হারি বৈসু উৎসব পালন করছে। আগামীকাল থেকে মারমাদের সাংগ্রাই উৎসব শুরু হবে।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com