
ময়মনসিংহ সদরে ১১ নং ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ এর চাউল না পাওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। ১১ নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: সাইদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদ উল ফিতরে দরিদ্র প্রান্তিক জনগোষ্ঠীদের জন্য চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার বিভিন্ন ওয়ার্ডের দরিদ্র মানুষের মাঝে চাউল বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে গত রবিবার সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন এলাকার ভূক্তভোগী ভিজিএফ চাউল না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এদিকে ১১ নং ঘাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন আমি প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ইউপি সদস্যদের মাঝে কার্ড বন্টন করে দিয়েছি। কিন্তু বন্টনের নামে সাবেক চেয়ারম্যানের ইন্ধনে এরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এদিকে সাংবাদিকরা ইউপি সদস্যদের মুঠোফোনে ভিজিএফ এর চাউল বিতরণে মানুষের মাঝে কার্ড বিতরণ করা হলেও অনেকে ভিজিএফ এর চাউল থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এদিকে ১১ নং ঘাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: সাইদুর রহমান বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের ও এলাকার জনগণদের মাঝে বলাবলি করছে মেম্বাররা কার্ড বিক্রি করে দিয়েছে। এদিকে ইউপি সদস্যরা সাংবাদিকদের বলেন এটির সুষ্ঠ তদন্ত হোক। ইউপি সদস্যরা কার্ড বিক্রি করেছে এমন যদি প্রমাণিত হয় তাহলে আমাদের আইনেও আওতায় আনা হোক। ৩৪ টন চাউল উপজেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দ দেওয়া হলেও কত টন চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা এলাকাবাসী জানতে চায়। এদিকে চাউল বেপারী দালাল মো: সাইফুল ইসলাম ১১নং ইউনিয়ন পরিষদে বসে থাকতে দেখা যায়। যার এলাকাবাসী বিরূপ মন্তব্য করেছেন রাতের আধারে চাউল বিক্রি করে দিয়েছে বলে এলাকায় গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এদিকে ৪০ দিন কর্মসৃজনে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। যেমন ৭,৮,৯ ওয়ার্ডে ২৭ জন,২ ন্ং ওয়ার্ডে ৬ জন এমনিভাবে বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রায় ৭০/৮০ জন কর্মসৃজনে কাজ করেছে এবং বাকীগুলো নেতাকর্মীদের মাঝে সমবন্টন করা হয়েছে বলে এলাকাবাসী থেকে অভিযোগ রয়েছে । এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুষ্ঠ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- news.jagobulletin@gmail.com
