ঢাকাশুক্রবার , ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অপরাধ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আবহাওয়া
  4. কর্পোরেট বুলেটিন
  5. কৃষি সংবাদ
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জেলা সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. ধর্ম ও জীবন
  13. নাগরিক সংবাদ
  14. পদ্মাসেতু
  15. পাঁচমিশালি
আজকের সর্বশেষ সব খবর

নীলফামারীর রামনাগরে চলছে প্রকাশ্যে জমজমাট জুয়ার আসর

জাগো বুলেটিন
মে ৭, ২০২২ ৩:৩৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নীলফামারী জেলা সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নে প্রতিনিয়ত চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। ইউনিয়নের চাঁদের হাট বাজার, ও চাঁদের হাট বড় খামাত পাড়ার বিভিন্ন জঙ্গল, কলাবাগান,পুকুর পাড় বাঁশ বাগান সহ বিভিন্ন নির্জন এলাকায় স্থায়ী ও অস্থায়ী ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে প্রকাশ্যে জমজমাট জুয়ার আসর। কার্ড, বোর্ড, অনলাইন সহ বিভিন্ন আসরের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হচ্ছে এসব আসরে।

এ আসরে জুয়া খেলে সর্বশান্ত হচ্ছে গার্মেন্টস শ্রমিক, রিক্সা চালক, রাজমিস্ত্রি, কসাই,ও এলাকার উঠতি বয়সী যুবকরা।জুয়ার আসরকে চাঙ্গা রাখতে খেলার পাশাপাশি আশেপাশের বিভিন্ন স্পটে ও চাঁদের হাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনের রাস্তায় চলছে নেশার রমরমা কারবার।

এ বিষয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই জুয়ার আসর। তারা নিষেধ করলে জুয়াড়িরা হুমকি ধামকি দেয়। তবে বেশির ভাগ জুয়া খেলতে এসে নিঃস্ব হয়ে বাড়ি ফিরছে। বিভিন্ন সময়ে জুয়া আসর চালানোর কারণে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে এমন তথ্যও মিলছে। এলাকার সচেতন জনগণ এ ব্যাপারে তাদের উদ্বেগ ও আশংকা কথা জানিয়ে প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

এ বিষয়ে রামনগর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার রুহুল আমিন কেনু বলেন,আগামীর ভবিষৎ তরুণরা এ পথে গেলে সমাজ ও পরিবার ধ্বংসের মুখে পড়বে।আমরা নিষেধ করি কিন্তু তারা শুনতে চায় না।

এছাড়াও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক রফিকুজ্জামান দুলু বলেন, এলাকার সচেতন মানুষ কে এগিয়ে আসা দরকার, কেননা চাঁদের হাট ও খামাত পাড়া এলাকার যে জমজমাট জুয়ার আসর চলছে তাতে করে এলাকার কিশোর,যুবকরা বিপথে যাচ্ছে এবং নেশায় ঝুঁকে পড়ছে। তাই এখনই এসব জুয়াড়িদের খারাপ পথ থেকে ফিরতে প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত।

রামনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওবায়দুল ইসলাম বলেন,আমি জুয়ার ব্যাপারে বক্তব্য দিতে চাই না।যতদিন নিজে বন্ধ করতে পারবো না ততদিন বক্তব্য দেবো না।তিনি প্রতিবেদক কে রাগী কণ্ঠে বলেন ১০ বছর কি করছেন।আমাকে আর নেক্সট টাইম ফোন দিবেন না।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com