মৌসুমের প্রথম ভারি বর্ষণে বিপর্যস্ত খাগড়াছড়ির জনজীবন।
খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা, মানিকছড়ি, মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গাসহ বেশ কিছু উপজেলায় বর্ষণের কারণে জলাবদ্ধতা, পাহাড়ধস ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, দীঘিনালা উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সওজ অফিসে ও সড়কে পানি জমে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে সাজেক সড়কে যাতায়াতকারী পর্যটক ও স্থানীয়দের ভোগান্তি হচ্ছে। এ ছাড়া মেরুং ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।
মেরুংয়ের মাইনী নদী তীরবর্তী ও আশপাশের অর্ধশতাধিক পরিবার ইতোমধ্যে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছে।
দীঘিনালায় টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত এবং পাহাড় ধসের সম্ভাবনা থাকায় ১ নং মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ এর অন্তর্ভুক্ত সকল এলাকার জনসাধারণের জন্য অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকী’র সতর্কবার্তাসহ সহযোগীতার আসস্থ করে সাংবাদিকদের বলেন আমার ইউনিয়নের সকল মেম্বারদের বলা হয়েছে কোন দুর্ঘটনার সাথে সাথে আমাকে যেন জানানো হয়।
এদিকে খাগড়াছড়ি পৌরসভার শালবন, কুমিল্লাটিলাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে পৌর কর্তৃপক্ষ
শনিবার দুপুরের পর থেকে আজ রবিবার পর্যন্ত টানাবৃষ্টির কারনে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন। ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকলে খাগড়াছড়ির চেঙ্গী, মাইনী ও ফেনী নদীর পানি বেড়ে বন্যার শঙ্কা রয়েছে। এদিকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও খাগড়াছড়িতে খুব বেশি পর্যটকের দেখা মেলেনি।
খাগড়াছড়ি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষে জানানো হয় ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পাহাড়ধসসহ যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলা ও উদ্ধারকাজে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকদের সব ইউনিট প্রস্তুত রয়েছে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, ভারি বর্ষণে পাহাড়ধসের শঙ্কা মাথায় রেখে শালবন এলাকায় কাউন্সিলরের নেতৃত্বে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। দুটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছে।
১নংমানিকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান ফারুক বলেন মানিকছড়িতে পাহাড় ধসের আশংকা রয়েছে। মানিকছড়ি উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা নির্বাহী কার্যালয় থেকে বর্ষা কারণে জলাবদ্ধতা, পাহাড়ধস ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এমন লোকদের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে মানিকছড়ি বালিকা বিদ্যালয় আশ্রকেন্দ্র খোলা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাব চন্দ্র বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পাহাড়ধসসহ যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলাপ্রতিটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের মাধ্যমে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বারবার শর্তক করে মাইকিং করা হয়েছে। তার পরও কোন দুর্ঘটনা ঘটলে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com