ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  1. অপরাধ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আবহাওয়া
  4. কর্পোরেট বুলেটিন
  5. কৃষি সংবাদ
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জেলা সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. ধর্ম ও জীবন
  13. নাগরিক সংবাদ
  14. পদ্মাসেতু
  15. পাঁচমিশালি
আজকের সর্বশেষ সব খবর

কিশোরগঞ্জে নিরাপত্তা ও জানমাল হেফাজতের দাবিতে হেযবুত তওহীদের সংবাদ সম্মেলন

জেলা প্রতিনিধি
মার্চ ২০, ২০২২ ৫:২৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

২০১৬ সালের ১৪ মার্চ নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে জবাই করে হত্যা, বাড়িঘর লুটপাট, অগ্নিসংযোগে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার এবং উক্ত স্থানে গৃহিত উন্নয়ন প্রকল্পের নিরাপত্তা ও জানমাল হেফাজতের দাবিতে কিশোরগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।কিশোরগঞ্জ জেলা হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে রবিবার সকালে জেলা পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কিশোরগঞ্জ জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি নাজমুল হক ।

এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও বিভাগীয় আমির মোঃ এনামুল হক বাপ্পা, বিভাগীয় রাজনৈতিক সম্পাদক মোঃ রহমত উল্লাহ রানা, কিশোরগঞ্জ জেলা হেযবুত তওহীদের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আসমা খাতুন, সহ-সভাপতি আবুল হাশেম চয়ন , জেলা রাজনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ফারহানা আক্তার রুপা, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সুমন, বাজিতপুর উপজেলা সভাপতি উবায়দুর রহমান, হোসেনপুর উপজেলা সভাপতি রাজন আহমেদ ।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন,২০১৬ সালের ১৪ই মার্চে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষীরহাটের পোরকরা গ্রামে মিথ্যা গুজব রটিয়ে হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমামের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও প্রকাশ্য দিবালোকে দুইজনকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে যারা জড়িত ছিল ও পরোক্ষভাবে যারা ইন্ধন যুগিয়েছিল তাদেরকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা হলে সেটাকে বিচারহীনতারই নামান্তর মনে করা হয়।কাজেই বিচারের নামে দীর্ঘসূত্রিতা যেন না হয় সে ব্যাপারে আমরা সরকারের পদক্ষেপ আশা করি। হামলাকারীদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যাদের নাম চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, গ্রেফতারও করা হয়নি, কিন্তু এখন তাদের নাম, ঠিকানা ও হামলায় জড়িত থাকার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য বেরিয়ে আসছে। এই হামলাকারীদেরকেও দ্রুত গ্রেফতার করে সম্পূরক অভিযোগপত্রের মাধ্যমে বা যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে । উগ্রবাদী সন্ত্রাসী ও ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠী আবারও মিথ্যা হ্যান্ডবিল রচনা করে বিভিন্ন মসজিদে, মাদ্রাসায়, রাস্তাঘাটে, দোকানে বিতরণ করছে এবং যেটা আমরা বলিনি, করিনি, যেটা আমাদের আকিদা নয়, বিশ্বাস নয়, সেগুলোকে আমাদের উপর আরোপ করছে। তারা চাচ্ছে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতে। মিথ্যা হ্যান্ডবিল রটিয়ে এহেন অপপ্রচারের সাথে জড়িতদেরকে গ্রেফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। ধর্মব্যবসায়ী ও উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া মাননীয় এমামের বসত বাড়িকে কেন্দ্র করে আমরা পুনরায় যেই উন্নয়ন প্রকল্প গড়ে তুলেছি, সেই উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে থাকা স্থাপনাগুলো যেমন-স্কুল, মসজিদ, মক্তব, গবাদি পশুর খামার, বিভিন্ন ধরনের শিল্প কারখানা, কুটির শিল্প ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান গুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে । এ লক্ষ্যে চাষীরহাট বাজারে একটি পুলিশ ফাঁড়িস্থাপন করতে হবে। মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে হাইজ্যাক করে অতীতে কীভাবে জাতিবিনাশী ঘটনা ঘটানো হয়েছে, গুজব ছড়িয়ে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে নির্দোষ মানুষের জান মালের ক্ষতি করা হয়েছে ও হত্যাকা- ঘটানো হয়েছে তা গণমাধ্যমকর্মীদের অজানা নয়। এই গুজব সৃষ্টিকারী ও অপপ্রচারকারী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে আরও সোচ্চার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। সারা দেশ থেকে আমাদের হাতে আসা তথ্যমতে,শুধু ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসেই দেশের অন্তত শতাধিক জায়গায় হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে ওয়াজ মাহফিলে বা জুমার খুতবায় বা অনলাইনে মিথ্যা ওয়াজ করা হয়েছে এবং আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ধ্বংস করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এসব হুমকির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিনিয়ত প্রচার করা হচ্ছে। কাজেই দেশজুড়ে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের আবাসস্থল, কার্যালয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন প্রকল্প ইত্যাদির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। যেসমস্ত তাত্ত্বিক গুরু বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদ-পদবী ব্যবহার করে ওয়াজের নামে হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে, গুজব রটাচ্ছে ও হামলার উসকানি দিচ্ছে, তাদেরকে শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের আপলোড করা বক্তব্যগুলো দেখে তাদের অন্ধ অনুসারীরা প্রভাবিত হয়ে বহু বেআইনী ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। যেমন জঙ্গিবাদী হামলা, ভাস্কর্য ভাঙচুর ইত্যাদি ঘটনার কথা স্মরণ করা যেতে পারে। দেশের আইন মান্যকারী নাগরিক হিসাবে আমাদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। তথাপি ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে বারবার আমাদের উপর হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করছি যে, পুনরায় আমাদের বাড়িঘরে, মসজিদে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও উন্নয়ন প্রকল্পসমূহে হামলা চালানোর হুমকি প্রকাশ্যে প্রদান করা হচ্ছে। যদি আবারও তারা আক্রমণ করে, তাহলে প্রশাসনিক নিরাপত্তার পাশাপাশি কার্যবিধিতে উল্লেখিত আত্মরক্ষার ধারা মোতাবেক আত্মরক্ষা করার অধিকার আমাদের রয়েছে। আমাদের সেই আত্মরক্ষার অধিকার সুস্পষ্টভাবে বলবৎ করতে হবে। ধর্মব্যবসা, সাম্প্রদায়িকতা, অপরাজনীতি, মাদক, হুজুগ, গুজব, জঙ্গিবাদ ইত্যাদির বিরুদ্ধে সারাদেশে হেযবুত তওহীদ যে জন সচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে সেই অনুষ্ঠান গুলোর নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে হেযবুত তওহীদের এমাম ও সদস্যদের ছবি এডিট ও বিকৃত করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, মিথ্যা গুজব রটানো হচ্ছে, অস্থিতিশীল পরিস্থিতির ইন্ধন দেওয়া হচ্ছে। যারা নামে-বেনামে বিভিন্ন আইডি খুলে এ ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অবস্থান সনাক্ত করে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে ।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com