সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডে মহাড়সক ও সওজের জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত ফুটপাতের দখল নিয়ে সাবেক ও বর্তমান কাউন্সিলরের দুপক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে সাভার পৌরসভার কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত গেন্ডা বাজারে এ সংঘর্ষ হয়।
খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষ সাভার মডেল থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-আরিচা মহসড়কের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডে অবৈধভাবে মহাসড়ক ও সওজের জায়গায় স্থায়ী বাজার বসিয়ে চাঁদা আদায় করে আসছিল সাভার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আয়নাল হক গেদু, আলমগীর হোসেন মাখন ও গোসত ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হক। মহাসড়ক ও ফুটপাতে বাজার বসানোয় জনসাধারণের চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হতো। তাই বুধবার দুপুরে সড়ক ও জনপথ বিভাগ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আনিসুজ্জামান খাঁন মুরাদের সহযোগিতায় ফুতপাত উচ্ছেদে অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় প্রায় শতাধিক অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়। অন্যদিকে অভিযান শেষে ফুটপাত পুনর্দখল নিয়ে সাবেক ও বর্তমান কাউন্সিলরের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় অন্তত পাঁচজন আহত হন। পরে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও সাধারণ ব্যবসায়ীরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
হামলায় আহত তরমুজ ব্যবসায়ী আলী হোসেন বলেন, উচ্ছেদ অভিযান শেষে তরমুজগুলো এক জায়গায় করছিলাম। এ সময় কাউন্সিলর আনিসুজ্জামান খান মুরাদের নেতৃত্বে রুবেল হাসান, সোহাগ, বাবুসহ অজ্ঞাত পরিচয় ১০-১২ জন লোক এসে আমাকে মারধর করে। তারা আমার ডিজিটাল মাপ যন্ত্রটি ভেঙে ফেলে। এ সময় অন্যরা এগিয়ে এলে দেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা বাজারের ব্যবসায়ীদের মারধর, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
অভিযোগ অস্বীকার করে অপরপক্ষের অভিযোগের বাদী রুবেল হাসান বলেন, জনগণের চলাচলের স্বার্থে বর্তমান কাউন্সিলরের সঙ্গে আমরা ফুটপাত উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগিতা করছিলাম। তিনি বলেন, অভিযান শেষে হঠাৎ সাবেক কাউন্সিলরের ছেলে রাজীব, সুমন, সজীব, তানজিল ও আলীসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এসময় আমি সোহাগ ও বাবুকে তারা কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এ ব্যাপারে বর্তমান কাউন্সিলর আনিসুজ্জমান খাঁন মুরাদ বলেন, অবৈধভাবে ফুটপাত ও মহাসড়ক দখল করে বাজার বসিয়ে চাঁদা আদায় করায় জনগণের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাই জনস্বার্থে রাস্তা পরিষ্কার করতে ফুটপাত উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে চাঁদাবাজরা আমার সামনেই আমার লোকজনকে মারধর করেছে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে যারাই ফুটপাতে দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজি করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com