জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবির) একমাত্র ছাত্রীদের আবাসস্থল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের পঞ্চম ও ছষ্ঠ তলা হতে ছাত্রীদের ব্যক্তিগত ব্যবহার করা রাইস কুকার এবং ইলেকট্রিক কেটলি নিয়ে গেছেন হল কর্তৃপক্ষ।
রোববার (১৯ জুন) বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল সূত্রে বিষয়টি জানা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত আবাসিক শিক্ষকেরা একমাত্র ছাত্রী হলের পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলা থেকে ৬টি রাইস কুকার এবং ৪টি ইলেকট্রিক কেটলি নিয়ে গেছেন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী একজন আবাসিক শিক্ষার্থীকে হলে এসব ব্যক্তিগত রান্নার সরঞ্জাম ব্যবহার করলে হল প্রভোস্ট থেকে আবেদন করে ব্যবহারের অনুমতি নিতে হয়। অনুমতি না নিলে এসমস্ত সরঞ্জামাদি যে কোনো সময় হল কর্তৃপক্ষ জব্দ অথবা নিয়ে যেতে পারেন।
হলের শিক্ষার্থীরা বলেন, হলে ৩ বেলা খেতে হলে আমাদের কমপক্ষে ৩৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা খরচ হয়। তাছাড়াও হলে খাবারের মান নিম্নমানের। যার ফলে অনেক শিক্ষার্থী বাহির থেকে খাবার এনে খেতে হয়। আমরা কয়েকমাস ধরে রাইস কুকার এবং ইলেকট্রিক কেটলিগুলো ব্যবহার করছি।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, কয়েকজন আবাসিক শিক্ষকও জানেন বিষয়টি সম্পর্কে। কিন্তু প্রভোস্ট ম্যামকে বিষয়টি বললে উনি বলেন হলের নিয়ম না মানতে পারলে হল ছেড়ে দিতে। এইদিকে হলে গ্যাস না দিয়ে এমন পদক্ষেপ নেওয়াতে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
হল সূত্রে আরও জানা যায়, ইলেক্ট্রিসিটি বিল বেশি হওয়ায় আগেও নোটিশ করেন হল কর্তৃপক্ষ। এ মাসে হটাৎ করে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আসায় এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম বলেন, আমি এখন এ বিষয় নিয়ে কিছু বলতে চাই না। আমি আগে এটা নিয়ে কাজ করি।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com