ঢাকাশনিবার , ২৭ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অপরাধ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আবহাওয়া
  4. কর্পোরেট বুলেটিন
  5. কৃষি সংবাদ
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জেলা সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. ধর্ম ও জীবন
  13. নাগরিক সংবাদ
  14. পদ্মাসেতু
  15. পাঁচমিশালি
আজকের সর্বশেষ সব খবর

ব্যক্তিগত কাজে না যাওয়ায় কর্মচারীকে চাকরিচ্যুতির হুমকি

জবি প্রতিনিধি
মে ২৩, ২০২৩ ৪:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ব্যক্তিগত কাজে না যাওয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী উত্তম বৈরাগীকে গালিগালাজ, ঘড়ের রগ সোজা করে দেয়াসহ চাকরিচ্যুতির হুমকি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি কর্মকর্তা কামাল হোসেন সরকার। এতে ভয়ে দুইদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন না এই কর্মচারী।

ভুক্তভোগী কর্মচারী উত্তম বৈরাগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা যায়, গত ১৯ মে শুক্রবার রাত ৮ টায় কাজ শেষ করে বাসায় যাবার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আটকান কর্মকর্তা সমিতির সাবেক সভাপতি কামাল হোসেন সরকার। এরপর উত্তম বৈরাগীকে ব্যক্তিগত কাজ করার জন্য বলেন। এসময় ওই কর্মচারী জানান, সারাদিন কাজ করায় ক্লান্ত। বাসায় যাচ্ছেন। তাই যেতে পারবেন না।

এটা শুনে রেগে যান কর্মকর্তা কামাল হোসেন। তখন কামাল হোসেন বলেন, ‘তোর এতো বড় সাহস। কর্মচারী হয়ে কর্মকর্তার মুখের ওপর কথা বলিস। তোর ঘাড়ের রগ সোজা করে দিব। ১৩ তারিখের পর (১৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অবসর গ্রহণের দিন) তুই কেমনে চাকরি করিস দেখে নিব।’ এরপর ওই কর্মচারীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন কামাল।

এরপর ওই কর্মচারী কষ্ট পেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন, ‘কিছু কিছু ডেপুটি রেজিস্ট্রার কর্মচারীদেরকে মানুষ মনে করে না। তারা নিজের স্বার্থের জন্য সব করতে পারেন। এই সব ডেপুটি রেজিস্ট্রারদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বদনাম হয়। কিন্তু সব ডেপুটি রেজিস্ট্রার সমান হয় না। কিছু মাটির মানুষও আছে। আসলে আমরা ছোট চাকুরী করি, তাই আমাদের হাত-পা বাঁধা থাকে কাউকে কিছু বলতে পারি না। কেউ আমার কথা কষ্ট পেয়ে থাকলে, আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। আমি খুব দুঃখিত।’

এ পোস্ট দেয়ায় কাল হয় ওই কর্মচারীর। পরদিন কামাল হোসেন, কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের (কাজী মনির), হিমাদ্রী শেখর মন্ডল, পুলক ঘোরামীসহ আরো কয়েকজন কর্মচারী উত্তমকে গালিসহ চাকরিচ্যুতির হুমকি দেন। উল্টো কর্মচারীকে দিয়ে সরি বলানো হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে নালিশ করে বরখাস্ত করতে বলেন।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী উত্তম বৈরাগী বলেন, আমরা ছোট চাকরি করি বলে কি মানুষ না। ব্যক্তিগত কাজে যেতে বলেন। আমি কারো নাম দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিইনি। কষ্টে পোস্ট দিইছি। এতেই দোষ আমার। আমাকে গালিগালাজ করেন তারা। চাকরিতে রাখবে না বলে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে কিছু করে কিনা তাই আমি ভয়ে ২ দিন ক্যাম্পাসে যায়নি। কালও হযতো যাব না।

এদিকে এবিষয়ে সম্পত্তি কর্মকর্তা কামাল হোসেন সরকার বলেন, আমি তাকে কাজের বিনিময়ে টাকা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সে করেনি। আমি তার বস, সিনিয়র। সে এমনভাবে বলে তাই আমার একটু খারাপ লাগে। চাকরিচ্যুতির কোন হুমকি দিইনি।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামানকে একাধিকবার ফোন কল করা হলে পাওয়া যায়নি।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com