জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিকে (জবিশিস) চিঠি দিয়েছে জবির আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জবি নীলদলের একাংশ।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) জবি নীলদলের একাংশের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ নূরে আলম আব্দুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মমিন উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ দাবি জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, গত শনিবার (১১ নভেম্বর) আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক স্যারকে হারিয়েছি। উপাচার্য হিসেবে মাত্র আড়াই বছরেরও কম সময়ের পথচলায় তিনি প্রশাসনিক কর্মকান্ডে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। আমরা তাঁর অবদানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি।
চিঠিতে আরো বলা হয়, ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অবগত হয়েছি যে, সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশে চিকিৎসাকালে মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের চিকিৎসায় প্রচুর অর্থ খরচ হয়েছে। উপাচার্য মহোদয়ের আকস্মিক প্রয়াণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার আর্থিকভাবে দাঁড়াতে চায়।
এছাড়া আরো বলা হয়, এমতাবস্থায় আমরা “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদল" প্রয়াত উপাচার্য মহোদয়ের পরিবারের পাশে আমাদের সামর্থ্যানুযায়ী আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে ইচ্ছুক। জবিশিস এক্ষেত্রে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করলে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছি।
উল্লেখ্য, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গত শনিবার (১১ নভেম্বর) ভোর ৫টায় রাজধানীর বেসরকারী বিআরবি হাসপাতালে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। শনিবার দুপুর ১২টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবন চত্বরে তাঁর প্রথম জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে তাঁর দ্বিতীয় জানাযা ও খিলগাঁও নিজ বাসভবনে তৃতীয় জানাযা সম্পন্ন হয়। এরপর তাঁর মরদেহ রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে মাগরীবের নামাযের পর দাফন করা হয়।