![](https://jagobulletin.com/wp-content/uploads/2024/11/fiti-header-ad-2025.jpg)
জাপানের জাতীয় ফুল ক্যাসিয়া রেনিজেরার সৌন্দর্যে নতুন রূপে সেজেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। প্রতিবছরের মতো এবারও মন মাতানো মনোমুগ্ধকর থোকা থোকা ক্যাসিয়া ফুলে ক্যাম্পাসের প্রকৃতি পেয়েছে নতুন রূপ নতুন প্রাণ।
প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে এবং মার্চ-এপ্রিল মাসে ক্যাসিয়া গাছে ফুল ফোটে। বৈচিত্র্যময় এ ক্যাসিয়া রেনিজেরার পাতাশূন্য গাছে বিভিন্ন রঙের ফুল যেন মন কাড়ে পর্যটকদের।
![](https://jagobulletin.com/wp-content/uploads/2022/04/IMG_20220408_140709_113-300x191.jpg)
ছবি : Lens Poetry
ক্যাসিয়া রেনিজেরা আমাদের কাছে তুলনামূলকভাবে কম পরিচিত। বর্ষা ছাড়া মোটামুটি বছরের বেশির ভাগ সময়ই বৃক্ষটি পত্রহীন অবস্থায় থাকে। এরপর ক্রমে নতুন পাতা গজায় আর গোলাপি ফুলগুলো সাদা হতে থাকে। ক্যাসিয়া ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে ক্যাম্পাসের আশেপাশের প্রকৃতিপ্রেমীরা ভিড় জমাচ্ছেন।
২০০২ সালে অধ্যাপক এ আর খান ক্যাসিয়ার বীজ থেকে চারা তৈরি করে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি স্থানে রোপণ করেন। এর কয়েক বছর পর সেসব গাছে ফুল ফোটে। বিগত এক দশক ধরে ক্যাম্পাসে বছরের এই সময়টিতে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে গোলাপি রাঙা এ ফুল। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে ও জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে এ ফুল দেখা যায়।
ক্যাসিয়া রেনিজেরা গাছ ১৫ থেকে ২০ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়। তবে গাছে ফুল ফুটলে এর সৌন্দর্য বিশাল আকার ধারণ করে। উজ্জ্বল সবুজ পাতার ক্যাসিয়া রেনিজেরা মূলত শুষ্ক অঞ্চলের গাছ। সৌন্দর্যবর্ধক ও পথতরু হিসেবে এর সুখ্যাতি রয়েছে।
অপরূপ এই জাপানি ফুল জাহাঙ্গীরনগরের প্রকৃতিকে করে তুলেছে অপরূপ। অনিন্দ্যসুন্দর এই ফুল বেশ কয়েক বছর ধরেই দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়টির সৌন্দর্যের মাত্রায় নতুন পালক যোগ করে আসছে।
প্রতিবছরই এ সময়টাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরাসহ দর্শনার্থীরা এর সৌন্দর্য অবলোকনে ভিড় জমাতো। যার ব্যতিক্রম হয়নি এবারও। করোনার কারণে গত দু’বছর ক্যাসিয়ার সৌন্দর্য অবলোকন থেকে বঞ্চিত ছিল ক্যাম্পাসবাসী। সবাই এ বছর সেই আক্ষেপ ঘুচিয়ে নিচ্ছেন।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- news.jagobulletin@gmail.com
![](https://jagobulletin.com/wp-content/uploads/2024/11/fiti-header-ad-2025.jpg)