ঢাকাশুক্রবার , ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অপরাধ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আবহাওয়া
  4. কর্পোরেট বুলেটিন
  5. কৃষি সংবাদ
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জেলা সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. ধর্ম ও জীবন
  13. নাগরিক সংবাদ
  14. পদ্মাসেতু
  15. পাঁচমিশালি
আজকের সর্বশেষ সব খবর

সাভারে ছাতা মেরামত কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে

মো: রওশন আলী
জুন ১২, ২০২২ ১:১১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ক্যালেন্ডারের পাতার হিসাবে বাংলাদেশে বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে আষাঢ় মাস। যদিও এখন রোদ আর বৃষ্টির খেলা চলছে। বছরের অন্য সময়ের তুলনায় বর্ষার সময় ছাতার ব্যবহার অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই এ সময়ে ছাতার কারিগরদের কর্মব্যস্ততাও বাড়ে।

সাভারের ছাতার কারিগররাও এর ব্যতিক্রম নয়। বৃষ্টি হলেই বেড়ে যায় তাদের কদর, বেড়ে যায় ব্যস্ততা। তাই ক্রুটিযুক্ত ছাতা মেরামত করতে ভাসমান কারিগরদের কাছে ভিড় জমায় ব্যবহারকারীরা।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অন্য সময়ের তুলনায় ছাতা কারিগরদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। কারিগররা বিভিন্ন এলাকায় বাক্স নিয়ে রাস্তার পাশে, কেউ অন্যের দোকানের বারান্দায় বসে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে দিনভর হরেকরকমের ভাঙা ছাতা মেরামত করছে।

বাজার বাস স্ট্যান্ডের ছাতা কারিগর মনির হোসেন জানান, চৌরঙ্গী সুপার মার্কেটের সামনের ফুটপাতে ছাতা মেরামত কারিগর রয়েছে প্রায় ডজন খানেক। তার বাবা ত্রিশ বছর এ পেশায় ছিলেন। বাবার হাত ধরেই তিনি প্রায় ১২ বছর ধরে এ পেশার সঙ্গে জড়িত। বেশিরভাগ ছাতা কারিগররাই পৈত্রিক সূত্রে এ পেশায় জড়িয়েছেন। তিনি দৈনিক ১০ থেকে ১৫টি ছাতা মেরামত করে থাকেন। দৈনিক ৫শ’ থেকে ৭শ’ টাকা আয় করেন তিনি।

কথা হয় ছাতা মেরামত করতে আসা রাহেলা আক্তারের সাথে। তিনি বলেন, তার একটি ছাতা বাড়িতে পড়ে ছিলো তাই মেরামত করতে এসেছেন। নতুন ছাতা কেনার চেয়ে অল্প টাকায় পুরোনোটাই মেরামত করা ভালো, এতে কিছুটা সাশ্রয় হবে।

ছাতা মেরামত করতে আসা বিরুলিয়ার বাঘনিবাড়ীর বাসিন্দা হুমায়ন মীর বলেন, একটি ভালো ছাতা ক্রয় করতে ২৫০-৫০০ টাকা প্রয়োজন। এর চেয়ে পুরোনো ছাতাটি মেরামত করে নিলেই চলে। এখনকার যে ছাতা, সবেমাত্র ১ মাস হল ছাতাটা কিনেছি, এখনই মেরামত করতে আসা লাগলো।

এছাড়া ভ্রাম্যমাণ ছাতা কারিগররা উপজেলার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে ছাতা মেরামত করে থাকেন। বর্ষা মৌসুমে যেহেতু ছাতার ব্যবহার বেড়ে যায়, তেমনি কারিগরদের কাজের রেটও বেড়ে যায়।

ভ্রাম্যমাণ ছাতা কারিগর হামিদুর রহমান জানান, প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। ফলে ছাতার কাপড়, হাতল, স্প্রিং, কামান প্রভৃতি জিনিসপত্র কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। এছাড়া সারা বছরই তাদের বসে থাকতে হয়, এই সময়টায় কিছু কাজ হয়।

আরেক ছাতা কারিগর আলমঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি এ পেশায় ২০-২৫ বছর ধরে আছি। বছরের এ সময়ে আমাদের আয় বেশি হয়। বছরে ছয় মাস আমি এ পেশায় থাকি, বাকি ছয় মাস ত্রুটিযুক্ত তালা মেরামত করে সংসার চালাই।

পৌর এলাকার নামাবাজারের ছাতা কারিগর সালাম, মতিন ও রুস্তম আলীর সাথে আলাপকালে বলেন, তারা অন্যের দোকানের সামনে নামমাত্র ভাড়ায় বসে কাজ করেন এবং কাজ শেষে ঘরে ফিরে যান। বছরের অন্য মৌসুমে তেমন কোন কাজ থাকে না। শুধুমাত্র বর্ষার অপেক্ষায় থাকেন। বর্ষা এলেই বাড়ি থেকে যন্ত্রপাতি নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন ছাতা মেরামতের জন্য। বর্ষা এলেই তাদের আয়ও বহুগুণে বেড়ে যায়।

এখানকার ছাতা কারিগররা প্রতিদিন গড়ে ৫শ’ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন। এই কারিগরদের আবার কেউ কেউ ছাতার ডাক্তার বলেও থাকেন। যে ভাষাতেই বলা হোক। এরাই ছাতার অসুখ-বিসুখ সারিয়ে সুস্থ করে তোলেন। আর বিনিময়ে পাওয়া অর্থ দিয়েই চালান তাদের সংসার।

 

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com