গরু ভুনা
উপকরনঃ
বিফ এক কেজি।
লবন স্বাদমতন।
কাচামরিচ ৪/৫ টা।
গুড়া হলুদ ১/২ চা চামচ।
মরিচ গুড়া ১ চা চামচ।
ধনিয়া গুড়া ১ চা চামচ।
জিরা গুড়া টালা ১/২ চা চামচ।
আদা বাটা ১ চা চামচ।
রসুন বাটা ২ চা চামচ।
জিরা বাটা ১ চামচ।
কাচা আস্ত জিরা ১/২ চামচ।
পানি পরিমান মতন।
তেজপাতা ২/৩ টি।
এলাচ ৪ টা।
লবঙ্গ ৪ টা।
দারচিনি ছোট পিস ৪ টুকরা।
জয়ফল গুড়া সামান্য পরিমান।
তেল পরিমান মতন।
পেয়াজ ২ কাপ।
প্রস্তুত প্রনালীঃ
পাত্রে তেল গরম করে জিরার ফোড়ন দিয়ে তাতে লবঙ্গ এলাচ,তেজপাতা দারচিনি সহ সব গরম মসলা একটু আচে দিয়ে পেয়াজ কুচি যোগ করে মিডিয়াম আচে ব্রাউন কালার করে ভেজে সব ধরনের গুড়া মসলা সহ আদা রসুন জিরা বাটা সহ সব মসলা ভাল করে কষিয়ে অল্প পানি দিতে হবে।
মাংস আগে থেকে ভাল করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে।
মসলা কষানো হয়ে গেলে তাতে ধুয়ে পানিতে ঝরানো মাংস যোগ করে কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করে মাংসের গায়ে ভাল করে মসলা লাগাতে হবে। এরপর একটা এয়ার টাইড ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে মিডিয়াম আচে।
১৫ মিনিট পর ঢাকনা খুললে দেখা যাবে মাংসে পানি ছেড়ে দিয়েছে চুলার ভাপে।তখন আরেকটু পানি যোগ করে ঢাকনা দিয়ে মাংস সেদ্ধর অপেক্ষা করতে হবে।
মাংস সেদ্ধ ভালভাবে হলে ঝাকনা খুলে ভালভাবে কষাতে হবে যেন ঝোল কমে তেলটা উপরে উঠে আসে।এরপর জয়ফল গুড়া দেব।
রান্না শেষে কাচামরিচ এবং টালা জিরা গুড়া যোগ করে রান্না টা শেষ করতে হবে।
গরম ভাত, খিচুরী,পোলাও,রুটি পরোটা সবকিছুর সাথেই এভাবে মাংস রান্নাটা খেতে দারুন লাগে।
কেউ ঝাল লবন বা ঝোল বেশি করতে চাইলে পছন্দ মতন এসব মসলা আর পানি টা যোগ করবেন।
মুরগীর রোস্ট
উপকরনঃ
একটা এক কেজি সাইজ কক/দেশি/ব্রয়লার চিকেন।
পেয়াজ ব্লেন্ড করা এক কাপ।
আদা রসুন বাটা২ টেবিল চামচ।
পেয়াজ কুচি এক কাপ বেরেস্তার জন্য।
জিরা গুড়া,ধনিয়া গুড়া ১ চা চামচ।
কাশ্মিরী চিলি আধা চা চামচ।
লবন স্বাদমতন।
তেল আন্দাজমতন।
দুধ ডানো চার চা চামচ ভাল করে গুলানো এক কাপ পানিতে(অন্য ব্র্যান্ডের দুধ ও ব্যবহার করতে পারেন)।
ঘি ২/৩ চামচ।
জাফরান এক চিমটি।
বাদাম বাটা এক টেবিল চামচ।
টকদই চার চা চামচ।
কাচামরিচ ৪/৫ টা আস্ত।
ভিনেগার এক চা চামচ।
লবঙ্গ দারচিনি এলাচ তেজপাতা ৪ টা টুকরা করে।
জয়ত্রী খুব সামান্য গুড়া করে।
প্রস্তুত প্রনালীঃ
চিকেন চারপিস করে কেটে ভাল করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে সামান্য লবন আর ভিনেগারে মাখিয়ে ১০ মিনিট রেখে এরপর পাত্রে তেল গরম করে মিডিয়াম আচে একটু ভেজে নিতে হবে।
ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্রে তুলে রেখে ব্লেন্ড করা পেয়াজ তেল পছন্দমতন নিয়ে ভাজতে হবে কিছুক্ষন।
পেয়াজ বাদামী হয়ে আসলে সব গরম মসলা,বাটা মসলা পেয়াজে দিয়ে কষাতে হবে এরপর দিতে হবে টকদই।
টকদই,বাদাম বাটা দিয়ে মসলা সহ সব কিছু খানিকক্ষন নাড়াতাড়ার পর চার পিস হালকা ভাজা চিকেন পিস গুলো সেটাতে যোগ করে মসলায় ভাল করে নাড়াচাড়া করে চিকেনের গায়ে মসলাগুলো লাগাতে হবে।অল্প আচে কিছুক্ষন ঢেকে রেখে তারপর পানিতে গুলিয়ে রাখা দুধ টা যোগ করতে হবে এবং এক চিমটি জাফরান অন্য একটি ছোট বাটিতে সামান্য পানিতে দিয়ে গুলিয়ে রং তৈরী হয়ে নরম হয়ে আসলে সেটা রোস্টে সেদ্ধ হয়ে আসলে নামানোর আগে দিতে হবে।
রান্না শেষের দিকে খাটি ঘি আর বেরেস্তা সহ আস্ত কাচামরিচ যোগ করে রান্নাটা শেষ করতে হবে ।
আমি রোস্টে কোনরকম পানি ব্যবহার করিনা।
দুধ,ঘি,টকদই আর মসলা দিয়েই পুরো রান্নাটা অল্প আচে শেষ করি।
এটা প্লেইন পোলাও এর সাথে খেতেভিষন মজাদার ইদ সহ যে কোন উৎসবে।
লাচ্ছা সেমাই
উপকরনঃ
এক প্যাকেট ভাল মানের লাচ্ছা সেমাই।
দুধ দেড় কেজি।
চিনি পরিমানমতন।
এলাচ একটা,দারচিনি দু টুকরো,তেজপাতা ২ টা।
ঘি এক কাপ।
কাজু আর পেস্তা বাদাম কুচি নিজ আন্দাজমতন ডেকোরেশানের জন্য।
কিসমিস এক মুঠো।
প্রনালীঃ
প্রথমে দুধ ঘন করে জ্বাল দিয়ে নিতে হবে।দুধে এলাচ দারচিনি তেজপাতা আর চিনি দিয়ে ফুটিয়ে নিব ঘন করার সময়।এরপর দুধটা ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এরপর একটা কড়াইতে ঘি যোগ করে বাদাম গুলো হালকা ভেজে উঠিয়ে নিয়ে এরপর লাচ্ছা সেমাইটা দিয়ে নাড়াচাড়া করে একটু বাদামী করে ভাজতে হবে।
ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্রে সেমাইটা নিয়ে পরিমান মতন দুধ যোগ করবেন।
একটু ঠান্ডা দুধে সেমাইটা বেশ ভাল লাগে আমার।একটু ক্রিস্পি ফিলিং দেয়।
চাইলে হালকা গরম দুধও যোগ করতে পারেন যদি নরম ধরনের সেমাইটা চান।
একেকটা হয় একেকরকম মজার।
এরপর উপরে বাদাম কুচি কিসমিস এগুলো দিয়ে পরিবেশন করুন।
ঈদের মিস্টি সকালে একটু সেমাই না হলে জমেনা কিন্তু আর তাই পার্ফেক্ট সেমাইটা ঈদকেও পার্ফেক্ট করে তোলে।
রুবাইদা রাখী, ওনার, ভর্তা বাহার
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com