ছিলেন ওয়ারেন্ট অফিসার, হয়ে গেলেন চাষি। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের বাসিন্দা মোঃ সাইফুল ইসলাম লিটন (৫০) বাড়ুর ছাদ ও বারান্দার পুরোটাই ঢেকে ফেলেছেন হরেক রকম উদ্ভিদে। তিনি তার বাড়ির ছাদে হরেক রকমের ফুল, ফল ও ঔষধি গাছের সমাহার গড়ে তুলেছেন। কাঁটায় ভরা ক্যাকটাস থেকে লাল টুকটুকে গোলাপ, সবই আছে সেখানে।
উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের বৃ-পাঁচাশি গ্রামের মোঃ সাইফুল ইসলাম লিটন চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি ও তার স্ত্রী মাহমুদা ইসলাম সাথী মিলে ছাদে ফল, ফল ও সবজি গাছের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গাছ লাগিয়েছেন। এতে পরিবারের যেমন পুষ্টির চাহিদা মিটছে তেমনি আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাচ্ছেন বিশুদ্ধ ফল ও শাক সবজি। বাগান পরিচর্যায় নিয়ম করে গাছের গোঁড়ায় জৈব সার, আগাছা পরিষ্কার ও পানি ছিটানো ছাড়া তেমন কোন কাজ করতে হচ্ছে না তাদের।
মোঃ সাইফুল ইসলাম লিটন ছাদবাগান সম্পর্কে বলেন, গাছ মানুষের বন্ধু। চোখের সামনে সবুজের সমারোহ ও সুউচ্চ পাখির কিচিরমিচির শব্দে যে আনন্দটা পাই তা বলে বুঝতে পারবো না। বৃষ্টির দিন ভেজা সবুজ গাছের দৃশ্য আমাকে মুগ্ধ করে, এই দৃশ্যগুলো আমাকে খুব টানে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আলি আকসার খান বলেন, কাজের ফাঁকে যখনই সময় পাই লিটন ভাইয়ের ছাদ বাগানে সময় দেয়ার চেষ্টা করি। কয়েকদিন আগে তার ছাদ বাগান নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলাম। এটা দেখে অনেকেই পরামর্শ চেয়েছেন ছাদ বাগান সম্পর্কে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুসরাত জামান বলেন, ছাদ বাগানের একটি বড় সুবিধা হলো ছাদ সব সময়ের জন্য ঠান্ডা থাকে। একদিকে পরিবেশ রক্ষা হয়, অপর দিকে পারিবারিক সবজির চাহিদা ও পুষ্টির জোগান দেওয়া সম্ভব হয়।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- news.jagobulletin@gmail.com