ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে “সুমু’স কেক এন্ড বেকারি”। উপজেলার চরনিখলা গ্রামের বাসিন্দা ইসরাত জাহান সুমাইয়া। পড়ালেখার পাশাপাশি ঘরে বসে কেক বানানো তার শখ। শখকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে আত্মকর্মসংস্থান গড়ছেন সুমাইয়া।
দোকানের কেকের চাইতে বাসার তৈরি কেককেই একটু বেশি প্রাধান্য দেয় স্বাস্থ্য সচেতন মানুষরা। সেইসব কেকের মধ্যে ফুটিয়ে তোলা হয় নানা চিত্র, ফুটে ওঠে প্রকৃতি কিংবা পছন্দের থিম।
একটি কেক শুধুমাত্র কেকই নয়, এতে মিশে থাকে আবেগ ও ভালোবাসা। সেসব ভালোবাসার কেক কিংবা খাবারকে যারা যত্ন নিয়ে গ্রাহকের কাছ পৌঁছে দেয় তাদের মধ্যে অন্যতম ইসরাত জাহান সুমাইয়া। সুমু’স কেকে এন্ড বেকারির দারুণ সব কেক নজর কাড়ে ক্রেতাদের, স্বাদেও অতুলনীয়।
জানা যায়, ছোট থেকেই সৃজনশীল কাজের প্রতি আগ্রহ ছিল তার। বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে সৃজনশীলতা ফুটিয়ে তুলছেন কেকের ক্যানভাসে। বিভিন্ন ঘরোয়া ও সামাজিক অনুষ্ঠানে তার তৈরি কেক থাকে অনুষ্ঠানের মধ্যমনি। ঈশ্বরগঞ্জের এর বাইরে ছড়িয়ে পড়ছে তার কেকের সুনাম। ভবিষ্যতে বড় পরিসরে শুরু করার ইচ্ছা রয়েছে সুমাইয়ার।
সুমাইয়ার কেকগুলোতে ফুটে ওঠে কারো ভালোবাসার মানুষের প্রতিচ্ছবি, ফুলপ্রিয় কারো ফুল, খেলাপ্রিয় কারো পছন্দের খেলার চিত্র উঠে আসে সেসব কেকের উপরে।
একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিটি মেয়েরই নিজের পায়ে দাঁড়ানো উচিত। আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া উচিত। প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যেই কিছু সুপ্ত প্রতিভা রয়েছে। সেটাকে খুঁজে বের করে কাজে লাগনো উচিত। এতে করে যেমন সম্মান বাড়ে তেমন সম্মানীও পাওয়া যায়।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com