সালমা জাহান সনিয়া। এই সময়ের তরুণ লেখিকা। ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল তার ডাক্তার হবার। স্কুলের গন্ডি পার হতেই সেই স্বপ্ন ভেঙে যায়। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে ভার্সিটিতে পা রাখার দিন গুলো থেকে শুরু হলো নতুন জীবন। লেখালেখিতে হুট করেই আসা ব্যাপারটা আসলে তেমন না। আগে থেকেই গল্প উপন্যাসের প্রতি টান ছিল প্রতিভাবান এই তরুণীর। প্রচুর গল্পের বই পড়তো সে, সেই সাথে গল্প লেখার ক্ষুদ্র চেষ্টা চলছিল। তবে কবিতার জীবনে আসা ভার্সিটির গন্ডিতে এসে। হুট করেই কবিতাকে আঁকড়ে ধরা।কবিতার প্রতি এত এত টান, এত মুগ্ধতা। ধীরে ধীরে কবিতা হয়ে গেল সালমা জাহান সনিয়ার জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেখান থেকে পাকাপোক্ত ভাবে লেখালেখিটা শুরু এই প্রজন্মের প্রতিভাবান এই লেখিকার।
কবিতা লেখার শুরুর দিন গুলো থেকে স্বপ্ন দেখা শুরু। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হয়ে বই হবে,সেখানে গুটিগুটি অক্ষরে বইয়ের নামের নিচে তার নাম লেখা থাকবে এটা তখনো ভাবতে পারেননি। ধীরে ধীরে সেই স্বপ্ন বুকে লালন করতে শুরু করেন তিনি। প্রথম স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার পর, দ্বিতীয় বার স্বপ্ন ভাঙার সুযোগটাই আস্কারা দিতে ইচ্ছে হয়নি আর।
তাই পাকাপোক্ত ভাবে লেখক হওয়ার নেশা টা ধরে যায়। সেখান থেকে মুলত লেখক হওয়ার যাত্রাটা শুরু।
জীবনে কিছু করতে গেলে যেই সাপোর্টটা আমাদের অনেক দূর নিয়ে যায় সেটা হলো পরিবারের সাপোর্ট। সনিয়ার লেখালেখি শুরুর দিনগুলো থেকেই তার আম্মুর সাপোর্ট ছিল। মাঝখানে এলোমেলো হলেও শেষ অব্দি সাপোর্টটা পাকাপোক্ত হয়ে যায়।ধীরে ধীরে পরিবারের সবাই তার লেখালেখিকে সাদরে গ্রহণ করে। আম্মুর সাপোর্ট আমাকে এই পর্যন্ত নিয়ে আসতে বেশি ভুমিকা রাখে এমনটাই জানায় সালমা সুলতানা সনিয়া।
প্রথম বই অর্থাৎ নোনাজলে চাঁদের হাসি ছুঁয়ে দেখার আগ মুহুর্তেও যে কথাটা তার মাথায় এসেছে, সেটা হলো- “আমি আমার বই ছুঁয়ে দেখতে পারবো তো!” শেষ অব্দি পেরেছেন ছুঁতে। সন্তান স্বরূপ বইয়ের মলাটে হাত বুলিয়ে তার মনে হয়েছিল,সে সেই মুহুর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ। এই অনুভূতি বলে প্রকাশ করার মতো না। এমনটাই জানালেন তিনি।
‘নোনাজলে চাঁদের হাসি’ অর্থাৎ তার প্রথম বই ছিল কাব্যগ্রন্থ। দ্বিতীয় প্রকাশিতব্য বই ‘সভ্যতার শেষ স্টেশন।’
এটিও কবিতার বই। কবিতা দিয়ে যেহেতু যাত্রা শুরু, কবিতার মাধ্যমেই আগে মানুষ জানবে তাকে এরকমটাই ইচ্ছে সালমার।
পছন্দের লেখক ছোট বেলা থেকেই হুমায়ুন আহমেদ। ছোট বেলায় তার বই না পড়লেও কেউ জিজ্ঞেস করলেই সে বলতো হুমায়ুন আহমেদ প্রিয় লেখক।এখনো তিনি আছেন। সেই সাথে বহুমাত্রিক লেখক মোশতাক আহমেদ। বিশেষ করে লেখকের প্যারাসাইকোলজির প্রেমে পড়ে যাই।সেখান থেকেই তিনিও প্রিয় লেখকের মাঝে ঠাই নিয়ে নিলেন।
প্রথম বই হিসেবে মানুষের এত সাপোর্ট পাবো, সেটা কল্পনাতীত ছিল। তবুও মানুষ ভালোবেসে আমাকে গ্রহণ করছে, এটা অনেক বড় প্রাপ্তি আমার জন্য। পাঠক আমাকে জাজ করুক আমার লেখা দিয়ে। আগেও চেয়েছি, এখনো চাচ্ছে। পাঠকের সাড়া আলহামদুলিল্লাহ ভালো পাচ্ছি।
যেহেতু লেখালেখিটাকে রক্তে মেশা অবরুদ্ধ নেশার মতো করে ফেলেছেন তিনি। তাই নিঃসন্দেহে বলতে হবে তার ফিউচার প্ল্যান একজন পাকাপোক্ত লেখক হওয়া। বাকিটা সময়ের পরিক্রমায় কতটুকু সফল হতে পারেন সেটুকুই দেখার বিষয়।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com