বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শনিবার সকাল ১১টায় নীলফামারী জেলা বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি পুলিশ। নেতা-কর্মীদের ধাওয়া ও দলের সভাপতি আখম আলমঙ্গীর সরকারকে দুই ঘন্টা পুলিশ ঘিরে রেখে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে জেলা বিএনপির
সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান কোকোসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী বিএনপি অফিস চত্তরে আসলে পুলিশ তাদেরকেও অবরুদ্ধ করে রাখে।
নীলফামারী জেলা বিএনপির সভাপতি আখম আলমঙ্গীর সরকার অভিযোগ করে জানান, আমরা প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। তারাও আমাদের কার্যক্রমে অনুমতি দিয়েছে।
সকাল ৯টা থেকে বিএনপি ও এর সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা বিএনপির পৌর মার্কেস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে জড়ো হতে থাকে। গনতন্ত্রের দেশে পুলিশ অগনতান্ত্রিক আচরন করেন। নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রউপ লাঠি হাতে নিয়ে নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। শুধু তাই নয় শহরের বিভিন্ন মোড়ে ও পাড়া মহল্লায় পুলিশ অবস্থান নিয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শহরে প্রবেশ করতে দেয়নি।
জেলা কৃষকদলের আহবায়ক মগনি মাসুদুল আলম দুলাল অভিযোগ করে জানান, আমি ও আমাদের নেতা-কর্মীদের চৌরঙ্গী মোড়ে পুলিশ ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আযম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহম্মেদ অভিযোগ করে বলেন, দলের কেন্দ্রীয় নেতারা আজ জেলে। দেশ নেত্রীসহ সকল নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে আমরা যখন নেতা-কর্মী নিয়ে বিএনপি অফিসে যাই তখন বাটার মোড়ে পুলিশ আমাদের উপর হামলা চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আমরা আবার একত্রিত হয়ে বিএনপি অফিসের দিকে যেতে চাইলে পুৃলিশ আবারো ধাওয়া করে।
নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রউফ মুঠোফোনে জানান, বিএনপির কোন নেতা-কর্মীর সাথে কোন বিয়য়ে কথা হয়নি। প্রতিদিনের ন্যায় আইন শৃংখলা রক্ষার স্বার্থে আমরা শহরে দায়িত্ব পালন করছি।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com