ময়মনসিংহ নগরীর দূর্গাবাড়ী রোডে নির্মানাধীন ভবনের পাইলিং করার সময় দেয়াল ধসে লক্ষ্মী রানী দাস (৮০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, নগরীর দুর্গাবাড়ি রোডের বাসিন্দা মৃত বাদল বসাকের স্ত্রী লক্ষী রানী দাস শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে মন্দিরে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন। তার বাসার পাশেই একটি বহুতল ভবন নির্মাণের পাইলিংয়ের কাজ চলছিল। ওই নির্মাণাধীন ভবনের ইট বালুর চাপে পুরাতন একটি দেয়াল ধসে পড়ে। ধসে পড়া দেয়ালের নিচে চাপা পড়েন তিনি। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
খবর নিয়ে জানা যায় উক্ত ডেভলপার কোম্পানির ব্যাকডেটেড প্লান পাস করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানায় এখনে পাইলিং এর কাজ চলমান রয়েছে জায়গার মালিক দুর্গা বসাক কোন ধরণের আইন না মেনেই এ পাইলিং এর কাজ চলমান রেখেছে।
এ বিষয়ে নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন এলাকার বাসিন্দা বলেন,ময়মনসিংহে নগরীতে অনেক ডেভেলপার কোম্পানি বহুল ভবন করা সময় এ রকম ঘটনা আগে ঘটেছে যদি এটার সঠিক বিচার চাই নিহত পরিবার তাহলে ভবিষ্যতে এ রকম ঘটনা আর ঘটবে না। তাই আমরা নগর বাসী হিসেবে এটার সঠিক বিচার চাই। এবং ওই কতিপয় ডেবেলপার কোম্পানির মানুষের জীবন নিয়ে তামাশা করা বন্ধ হবে।
এ বিষয়ে নিহত ছেলে মামলার বাদী বাবলু বসাক প্রতিবেদকে জানান,আমার মায়ের মৃত্যু জন্য যারা দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক এটাই চাই আমরা প্রশাসনের কাছে।
এ বিষয়ের মামলা তদন্ত কর্মকতা এসআই মো: মতিউর রহমান প্রতিবেদকে জানান, মামলার প্রাথমিক তদন্ত ঘটনা সত্যতার পাওয়া গেছে। নিহত ছেলে বাদী হয়ে রাজিব কুমার রায়কে এক নাম্বার,দিলীপ কুমার সরকারকে ২ নাম্বার, শ্যামল কান্তি সরকারকে ৩ নাম্বার,সীমান্ত কুমার রায়কে ৪ নাম্বার,৬/৭ জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা করেছে। তার ধারাবাহিকতায় আসামীদের গ্রেফতারের কোতোয়ালি থানার ওসি স্যারে নির্দেশে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি সফিকুল ইসলাম খান বলেন, ঘটনায় নিহত ছেলে বাবলু বসাক বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ৬/৭ জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা করেছে যা কোতোয়ালি থানায় রেকর্ড করা হয়েছে।
আমাদের পক্ষ থেকে আসামি গ্রেফতার অভিযান চলমান আছে বলে জানান।