![](https://jagobulletin.com/wp-content/uploads/2024/11/fiti-header-ad-2025.jpg)
ফেনীর দাগনভুঞার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের দেউলিয়া নুরানীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে নির্মম নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (১২ জুন) সকালে এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
নির্যাতিত শিশুটি মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে গেলে শনিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে টহলরত পুলিশের গাড়ির সামনে পড়লে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। পরে সকালে নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক ফখরুল ইসলামকে মাদ্রাসা থেকে আটক করে।
পুলিশ ও শিক্ষার্থীর বাবা আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, শিশু জাহিদুল হাসানকে (৭) চলতি বছরের শুরুতে মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়। মাদ্রাসাটিতে প্রায় শিশু জাহিদুলসহ অনেক শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
শিশুটিকে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে গেলে তার বাবা তাকে মাদ্রাসায় নিয়ে আসে। তিনি অধ্যক্ষকে তার ছেলেকে এই মাদ্রাসায় আর পড়াবেন না বলে জানান।
অধ্যক্ষ শিশুটির বাবাকে বুঝিয়ে বললে তিনি তাকে পুনরায় মাদ্রাসায় রেখে যান। রাতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে শিশুটিকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে মাদ্রাসার একটি কক্ষে আটকে রাখেন ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেন। পরে রাত ২টার দিকে শিশুটি বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে রাস্তায় নেমে এলে রাত ৩টার দিকে টহলরত পুলিশের একটি দল তাকে দেখে উদ্ধার করে।
দাগনভুঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান ইমাম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে সকালেই অভিযুক্ত অধ্যক্ষ ফখরুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় ছেলেটির পরিবার অভিযোগ করলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- news.jagobulletin@gmail.com
![](https://jagobulletin.com/wp-content/uploads/2024/11/fiti-header-ad-2025.jpg)