
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী নৌকা প্রতীকের আরফানুল হক রিফাতকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন। এসময় তিনি সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের বিজয়ী ঘোষণা করে তাদের নাম প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের অডিটরিয়ামে বিজয়ী প্রার্থীদের উপস্থিতিতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নাম ঘোষণা করেন। এসময় সকল কাউন্সিলর প্রার্থীরা উপস্থিত থাকলেও বিজয়ী মেয়র আরফানুল হক রিফাতের পক্ষে তার নির্বাচনী কার্যালয়ের সমন্বয়ক আতিক উল্লাহ খোকন উপস্থিত ছিলেন।
ফলাফল প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের কমিশন স্বচ্ছতার সঙ্গে ফলাফল ঘোষণা করেছে। এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, নির্বাচন তো আপনারা দেখলেনই। ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনো চাপ ছিল না। খুব স্বচ্ছতার সঙ্গে সবকিছু হয়েছে।
নির্বাচনে বিজিত প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর অভিযোগ প্রসঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন,একজন প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, ফোনে কথা বলছিলাম। সেখানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা নিয়ে আমি সিইসিকে (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) জানাচ্ছিলাম। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে জেলা প্রশাসককে কল করে জানাতে হয়েছে। আমার সে সময় অন্য কোনো কল আসেনি। আর ফল ঘোষণা নিয়ে কোনো প্রার্থী যদি অসন্তুষ্ট হন, সে ক্ষেত্রে আদালত আছে। যদি ভোটের ফল নিয়ে সন্দেহ থাকে, আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাতকারে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ১০১টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণার পর মিলনায়তনে একটি বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, হট্টগোল শুরু হয়। আমি এ সময় বার বার বলেছি সকলকে শান্ত হওয়ার জন্য, না হয় ফলাফল ঘোষণা বন্ধ রাখা হবে। এরপর আমাকে সিইসি মহোদয় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারকে জানাতে হয়েছে। আপনারা দেখেছেন বাইরে ভেতরে কী পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আমি বাকি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করি এবং সম্মিলিত ফলাফলে বেসরকারিভাবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতকে।
এদিকে বৃহস্পতিবার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাতকারে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ১০১টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণার পর মিলনায়তনে একটি বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, হট্টগোল শুরু হয়। আমি এ সময় বার বার বলেছি সকলকে শান্ত হওয়ার জন্য, না হয় ফলাফল ঘোষণা বন্ধ রাখা হবে। এরপর আমাকে সিইসি মহোদয়, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারকে জানাতে হয়েছে। আপনারা দেখেছেন বাইরে ভেতরে কী পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আমি বাকি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করি এবং সম্মিলিত ফলাফলে বেসরকারিভাবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরফানুল হককে বিজয়ী ঘোষণা করি।
যে চার কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে- ওই চার কেন্দ্রের (কেন্দ্র নং- ৪২, ৭৭ ৭৮ ৭৯) বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকতা বলেন, যে ১০১টি কেন্দ্রের ফলাফল ইভিএমে প্রাপ্ত ও প্রিসাইডিং অফিসারের মাধমে এখানে আসার পর আমরা ঘোষণা করি। এরপর ফলাফল আসতে কিছুটা দেরি হয়েছে। একজন প্রিসাইডিং অফিসারকে ঝড় বৃষ্টি উপক্ষো করে এবং ইভিএম মেশিনসহ সংশ্লিষ্ট মালামাল জিলাস্কুলে বুঝিয়ে দিয়ে তারপর ফলাফল গ্রহণ ও ঘোষণা স্থলে আসতে হয়। এখানে ফলাফল আসতে দেরি হয়েছে। এরিমধ্যে হট্টগোলও হয়েছে। এগুলো আমাদের সামলাতে হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রিসাইডিং অফিসাররা যে ফলাফল নিয়ে এসেছেন আমরা তো এগুলোই ঘোষণা করেছি। ওই চার কেন্দ্রের ফলাফল প্রিসাইডিং অফিসাররা যেভাবে দিয়েছেন, আমরা এভাবে প্রকাশ করেছি। যে চার কেন্দের ফলাফল নিয়ে এতো কথা হচ্ছে, ওই চার কেন্দ্রের ফলাফল শীট ইভিএমের থার্মাল কপিসহ প্রার্থীদের কাছে যেমনটি আছে, আমাদের কাছেও একই কপি রয়েছে। এসব কপি মিলিয়ে দেখুন, সঠিক আছে কিনা। আমাদের কাছে সংরক্ষিত কেন্দ্র ভিত্তিক ফলাফলের কপি ও প্রার্থীর কাছে থাকা কপির মধ্যে কোন অমিল আছে কিনা, এটা দেখুন। আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আমরা করবো। এখানে ফলাফল মেনুপোলেশন করার কোন প্রশ্নই আসেনা।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- news.jagobulletin@gmail.com
