ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এইচএসসি পরীক্ষার্থী সাদিয়া আফরোজাকে হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও তাদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ সাদিয়ার স্বজনরা। মানববন্ধন থেকে খালিদ হাসান টিটুসহ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারিক প্রক্রিয়ায় ফাঁসি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
সোমবার (২০ জুন) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষক, সাদিয়ার স্বজন ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজর অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম খান, ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মশিউর রহমান কাঞ্চন, নিহতের বাবা আব্দুল্লাহ আল মামুন।এসময় উপস্থিত ছিলেন নিহতের চাচা আব্দুর রহিম, ছাত্রলীগ নেতা রায়হান আহম্মেদ বাবুসহ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে সাদিয়ার বাবা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আমার মেয়েটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমার মেয়ের খুনির ফাঁসি চাই।’
ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মশিউর রহমান কাঞ্চন বলেন, আমরা মানববন্ধনের মাধ্যমে সাদিয়া আফরোজার হত্যারকারীদের সঠিক বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজ পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে জানান তারা।
উল্লেখ্য গত ১৬ জুন বৃহস্পতিবার সাদিয়া আফরোজা (১৯) নামের ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার দত্তপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ খালিদ হাসান টিটু ও তার পরিবার পরিকল্পিত ভাবে সাদিয়াকে হত্যা করেছে। টিটু দত্তপাড়া এলাকার মো. সুজন মিয়ার ছেলে। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী খালিদ হাসান টিটু (২৩) পলাতক রয়েছেন।
আফরোজা পৌর এলাকার দত্তপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের মেয়ে। তিনি ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজের ২০২২ শিক্ষা বর্ষের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। স্থানীয়দের জানান,৭-৮ মাস আগে পরিবারের অমতে বিয়ে আফরোজা। এরপর থেকে স্বামীর বাড়িতে থাকতেন তিনি। টিটু একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করেন।সাদিয়া হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা নিহতের স্বামী, দেবর, শশুরকে আসামী করে ঘটনার দিন রাতে মামলা করলে গতকাল পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পিএসএম মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, ঘটনার দিন খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাইনি। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com