খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় ভারি বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে মাইনী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে মেরুং ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এতে প্রায় ৪ শতাধিকের বেশি বসতবাড়ি পাহাড়ি ঢলের বন্যার পানি প্রবেশ করে। এছাড়া নিচু এলাকার রাস্তা-ঘাট ঢুবে যায়। এতে লংগদু উপজেলা-দীঘিনালা মেরুং সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
গত ৪ দিনে উপজেলার ভারী বর্ষণে উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে মাইনী নদীর পাশবর্তী এলাকায় পানিতে প্লাবিত হয়। এদিকে পানি বন্ধি পরিবারের লোকজন আশ্রয় কেন্দ্র ও নিকটস্থ আত্মীয়-স্বজনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে মৌসুমী শাকসবজি, বীজতলা ও মাছ চাষের পুকুর।
এমন সময় সোমবার (২০ জুন) বিকাল সাড়ে ৫টায় মেরুং ইউনিয়নের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া চারশ পরিবার মধ্যে দীঘিনালা সেনা জোন ত্রান সামগ্রী ও রান্না করা খাবার বিতরণ করেন মেজর নাজিম আহমেদ পিএসসি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোছা: মাহমুদা বেগম লাকী। ত্রাণ সামগ্রী মধ্যে রয়েছে চাল, আটা, চিনি, ডাল, লবন, বিস্কুট, পানি ও খাবার স্যালাইন।
মেজর নাজিম আহমেদ বলেন, বন্যায় মেরুং ইউনিয়ন বেশি ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে। ৪৫ পরিবার আশ্রয় কেন্দ্র অবস্থান করছে। আর ৪শ পানি বন্দী হয়ে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যায় গ্রস্ত চারশ পরিবারদের মধ্যে ত্রাণ পরিতণ করছি। আবহাওয়া পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- news.jagobulletin@gmail.com