ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নে শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন গ্রেপ্তার আনোয়ার হোসেন স্বপন। শিশুটি স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
রোববার (২৬ জুন) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসানের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি। আদালত তার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে প্রেস ব্রিফিং করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাদিয়া ফারজানা, সহকারী পুলিশ সুপার (সোনাগাজী-দাগনভূঞা সার্কেল) মোহাম্মদ মাশকুর রহমান, দাগনভূঞা থানার ওসি মোহাম্মদ ইমাম হাসান ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লা জানান, শিশুটি শনিবার (২৫ জুন) ১১টার দিকে স্কুল থেকে বের হয়। স্বপন তখন তাকে দেখে মুখ চেপে ধরে কোলে করে পুকুরপাড়ে গাছের নিচে নিয়ে ধর্ষণ করেন। শিশুটি ঘটনা তার মাকে বলে দেবে জানালে গলা চেপে ধরে দেয়ালের সঙ্গে কপালে ধাক্কা দিয়ে রক্তাক্ত করে ও চোখ উপড়ে ফেলে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য গাছের মোটা লতা দিয়ে গলায় শক্ত করে পেঁচিয়ে রেখে পালিয়ে যায় স্বপন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, স্বপনের মোবাইল চেক করেন দাগনভূঞা থানা পুলিশ। তার মোবাইলে প্রচুর পরিমাণ পর্ন ভিডিও পাওয়া যায়। স্বপন নিয়মিত পর্ন দেখতেন।
তিনি আরও জানান, মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে আসামি স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বপন নিয়মিত পর্ন দেখায় সেই আসক্তি থেকে বিকৃত রুচিবোধ সৃষ্টি হয়। সেই আসক্তি থেকে শিশুটিকে ধর্ষণ ও পরে হত্যা করেন।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. ইকবাল হোসেন জানান, শিশুর গোপনাঙ্গে যেভাবে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে, তা কোনো সুস্থ মানুষের পক্ষে করা সম্ভব না।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com