
গ্যাস ও জ্বালানী তেলের সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় অতিমাত্রায় লোডশেডিংয়ের কবলে সর্বত্র স্থবিরতা নেমে এসেছে। সীমাহীন লোডশেডিং যন্ত্রণায় ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্ষুদ্রশিল্প-কারখানা, অফিস-আদালতসহ জনজীবন বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে।
সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকরা লোডশেডিংয়ের প্রকৃত কারণ না জানলেও অসহনীয় লোডশেডিংয়ের জন্য পিডিবি (বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড) এবং আরইবি’কে (পল্লী বিদ্যুৎ) দোষছেন। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরাজ করছে চরম হতাশা। পিডিবি’র চাইতেও পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা সব চেয়ে বেশি ভোগান্তিতে আছে। প্রতিদিন গড়ে দিনে-রাতে বেশির ভাগ সময়েই বিদ্যুৎ থাকে না। দিনে-রাতে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকার কারণে রাতে মানুষ ঘুমাতে পারে না। এতে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বৃদ্ধ, নারী ও শিশুরা। ঘনঘন বিদ্যুৎ যাওয়া আসার কারণে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও বাসা-বাড়ীতে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, ফ্রিজ, টেলিভিশন, ফটোকপি মেশিনসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে বলে অনেকে অভিযোগ করছেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালীর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (আরইবি) কোম্পানীগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকের সংখ্যা ৫৭হাজার। এর চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন পিক আওয়ারে ১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। তদস্থলে আমরা পাচ্ছি মাত্র ৮-৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
অপরদিকে বসুরহাট বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের (পিডিবি) আবাসিক প্রকৌশলী (আরই) সোলাইমান জানান, পিডিবি’র গ্রাহক সংখ্যা ২৩ হাজার। চাহিদা অনুপাতে ৭ মেগাওয়াট বিদ্যুতের স্থলে আমরা পাচ্ছি এর অর্ধেক সাড়ে ৩ মেগাওয়াট।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- news.jagobulletin@gmail.com
