
পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কর্মকাররা। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে তাদের ব্যস্ততা। এই ঈদে গরু, ছাগল কুরবানি পশু হিসেবে জবাই করা হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কুরবানির পশু জবাই চলে। এসব পশুর গোশত কাটতে দা-বটি, ছুরি-ছোরা ইত্যাদি ধাতব হাতিয়ার অপরিহার্য।
যেহেতু কুরবানির পশু কাটাকুটিতে চাই ধারালো দাঁ, বটি, চাপাতি ও ছুরি। তাই কয়লার চুলায় দগদগে আগুনে গরম লোহার পিটাপিটিতে টুং টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে উপজেলার দোহলপাড়া কামাড় এলাকাগুলো।
পশু কুরবানিতে এসব অতীব প্রয়োজনীয়। তাই যেন দম ফেলারও সময় নেই কর্মকারদের। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন তারা। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও কুরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েকগুণ ব্যস্ততা বেড়ে যায় কর্মকারদের।
কয়েকজন কর্মকারের সাথে কথা বলে জানা যায়, পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, দা ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, বটি ২৫০ থেকে ৪৫০টাকা, পশু জবাইয়ের ছুরি ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে অনেক ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মকাররা।
পশু জবাইয়ের সরঞ্জামাদি কিনতেও লোকজন ভিড় করছেন তাদের দোকানে ও বাড়িতে।
কামার দোকানদারদের অভিযোগ কুরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লার দাম ও শ্রমিকদের দাম বেড়ে গেছে।
উপজেলার দোহলপাড়া গ্রামের মিঠুন চন্দ্র কর্মকার জানান, সারা বছর কাজের চাপ থাকে না। যা লাভ এই ঈদ মৌসুমেই। তাই ঈদে সামান্য একটু বেশি নিয়ে থাকি। তবে এবারের ঈদে চাপ বেশি কাজের চাপ ও বেড়েছে।তিনি আরো বলেন ঈদ এলে লোহার দাম না বাড়লেও কয়লার দাম বৃদ্ধি পেয়ে যায়।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- news.jagobulletin@gmail.com
