
বরগুনার আমতলীতে উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নে আমরাগাছিয়া বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৯টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আড়াই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
আজ (বুধবার) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমরাগাছিয়া বাজারের আল-আমিনের তৈল এর গুদাম দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন। আগুন দ্রুত পাশের একটি চালের গুদামসহ আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পরে। এতে ৯টি দোকান পুড়ে প্রাথমিকভাবে প্রায় চার কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে দাবি ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসায়িরা দাবী করেন।
ক্ষতিগ্রস্থ ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী রাজিব হোসেন বলেন, আমার দোকানের সবকিছু পুড়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার লক্ষ লক্ষ টাকার কিস্তি কিভাবে দিমু। আমার সংসার আমি কিভাবে চালামু।
অপর ক্ষতিগ্রস্থ চালের দোকানদার লিটন মৃধা বলেন, আমার সব পুঁজি দিয়ে আমি দোকান দিয়েছি। আমি এখন কিভাবে পরিবার পরিজন খামু – চলমু। আমার এখন কি হবে?
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী মো.সান্টু বলেন, অগ্নিকান্ডে আমি সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। আমার তেলের গুদামের সব পুরে ছাই হয়ে গেছে। আমার প্রায় এক কোটি টাকার মতো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ দোকান ও ঘর মালিকদের দাবি আগুনে তাদের প্রায় চার কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। তবে, কিছু ব্যবসায়ীর ধারনা তেলের গুদামে তেল গরম দেয়ার সময় আগুন লাগার সম্ভবনা থাকতে পারে।
আমতলী ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা মুঠোফোনে বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। প্রাথমিক ভাবে বলা যাচ্ছে না – তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।
বরগুনা, আমতলী ও পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আড়াই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছি। অগ্নিকান্ডে মোট ৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছেে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ এবং কুকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহমেদ মাসুম তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- news.jagobulletin@gmail.com
