
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় জ্বর, সর্দি ও কাশির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। প্রচণ্ড রোদ আবার কখনও বৃষ্টিতে শীতল হাওয়া নিয়ে চলছে এখানকার আবহাওয়া। তারউপর লক্ষণ একই হওয়ায় করোনা সংক্রমণের ভয় রয়েছে জনসাধারণের মাঝে।
জানা যায়, প্রতিটি বাড়িতে দু’একজন করে সদস্য জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকেই করোনা আক্রান্তের আতঙ্কে রয়েছেন।টেষ্ট না করালেও বেশির ভাগ রোগী পল্লী চিকিৎসকদের পরামর্শে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাসপাতালসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে, কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। যাদের অধিকাংশ জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমেনিয়া। আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি।
জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত রোগীরা জানান, আগের তুলনায় এ জ্বরের প্রকোপ অনেক বেশি। জ্বরের সঙ্গে সব শরীরের মাংসপেশী ও হাড়ের জয়েন্টে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব হয়। কাশিতে বুকে ব্যথা হচ্ছে। অনেকের শ্বাসকষ্টও দেখা দিচ্ছে। এটি প্রাথমিকভাবে করোনার লক্ষণ ভেবে অনেকেই পল্লী চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হয়ে বাড়ীতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চরএলাহীর রহিমা খাতুন (৪১) বলেন, জ্বরে শরীরে এমন ব্যথা আমার জীবনে কখনই দেখি নাই। পুরো শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা, কাশির কারণে বুকেও ব্যথা অনুভব হচ্ছে।৫ দিন জ্বরে ভুগে সদ্য সুস্থতা পেলেও কাশি এখনও বন্ধ হয়নি।
মুছাপুরের শফিক মিয়া বলেন, বাড়ির অন্য সদস্যরা জ্বরে আক্রান্ত না হলেও পাশের বাড়ির লোকজনেরও জ্বর-সর্দি রয়েছে। জ্বর, সর্দি ও কাশির প্রাদুর্ভাব বাড়লেও সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়েনি। শহরের কিছু মানুষ মাস্ক ব্যবহার করলেও হাটবাজার পথঘাটে মাস্কহীন মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম জানান,প্রাথমিক ভাবে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এসব রোগবালাই দেখা দিতে পারে বলে মনে হচ্ছে।আবার করোনার লক্ষণ ও একই হওয়ায় করোনা কিনা সেটাও ভাবতে হচ্ছে।আমাদের কাছে পর্যাপ্ত কিট রয়েছে।কাল পরসুর টেস্টের ফলাফলের পর বুঝা যাবে।তবে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- news.jagobulletin@gmail.com
