ঝালকাঠীর কাঠালিয়া উপজেলার আমরিবুনিয়া এইচকে বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুজন কর্মচারী নিয়োগে প্রধান শিক্ষক মোঃ লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে মোটা অংকের ঘুষ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অতি সম্প্রতি উপজেলার আমরিবুনিয়া এইচকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অতি গোপনে একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও একজন অফিস সহায়ক প্রায় বিশ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এলাকাবাসী, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির বেশ কয়েকজন এ নিয়োগ সম্পর্কে কিছুই জানে না। ঘুষ বানিজ্য ও অযোগ্য লোকদের নিয়োগ দেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক অতি গোপনে তরিগরি নিয়োগ কার্য কম্পন্ন করে। ফলে এলাকায় এনিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ ও আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
জানা যায় প্রধান শিক্ষক পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে আমুয়া বন্ধরে বসবাসকারী পলাশ কুমারকে 10 লক্ষ্ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রথমে প্রধান শিক্ষক পলাশ ও তার পরিবারের কাছে আমুয়া বন্ধর থেকে ৪ কাঠা (১২শতাংশ)জমি তার নামে রেজিস্ট্রি করে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। জমির লেনদেনের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে প্রধান শিক্ষক জমি না নিয়ে পলাশের কাছে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে নিয়োগ প্রদান করেন।
এছাড়াও তিনি অফিস সহায়ক হিসেবে আমরিবুনিয়া গ্রামের মোঃ জামাল হোসেনকে ৬ লক্ষ টাকা নিয়ে নিয়োগ দেন।
হেতালবুনিয়া গ্রামের মোঃ বাদশা মিয়া অভিযোগ করেন আমার ছেলে মোঃ রাজু মিয়াকে প্রধান শিক্ষক পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেয়ার জন্য অনেকবার যোগাযোগ ও ঘুষের টাকা নিয়ে দেনদরবার করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে পলাশ কুমারের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পেয়ে আমাদের না জানিয়ে গোপনে তাকে নিয়োগ দেন। আমরা এ বিতর্কিত নিয়োগ বাতিল চাই”।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই স্কুলের একজন সহকারী শিক্ষক জানান যে, আমাদের প্রধান শিক্ষক মোঃ লিয়াকত আলী স্যার যা মনে হয় তাই করেন। তিনি স্কুল ফান্ডের টাকা নিজের মতো করে ব্যবহার করছেন। আমাদের সাথে কোন কিছু আলোচনা করার প্রয়োজন মনে করেন না। ঘুষ নিয়ে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগের বিষয়টি আমিও শুনেছি”।
আমরিবুনিয়া গ্রামের মোঃ হেলাল মাস্টার জানান প্রধান শিক্ষক দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে গেছেন। সম্প্রতি ঘুষ নিয়ে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন। নিয়োগের বিষয়ে কেউ প্রধান শিক্ষকের কাছে কোন তথ্য জানতে চাইলে তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে অপমান অপদস্থ করেন।
কাঠালিয়া সদর ইউনিয়ের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ফয়সাল আহম্মদ জানান চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়োগে প্রধান শিক্ষক ঘুষ নিয়েছেন এমন কথা শুনেছি। প্রধান শিক্ষক মোঃ লিয়াকত আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিধি মোতাবেক নিয়োগ হয়েছে, কোন ঘুষ বানিজ্য হয়নি একটি পক্ষ মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। অত্র বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির (ম্যানেজিং) কমিটির সভাপতি মোঃ বদিউজ্জামান সিকদার জানান বিধি মোতাবেক নিয়োগ হয়েছে, ঝালকাঠিতে নিয়োগ পরিক্ষা হয়েছে ও খানে আমি ছিলামও না তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি স্বাক্ষর দিয়েছি। ঘুষ বাণিজ্য হয়েছি কিনা আমার জানা নাই।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com