ঢাকাবুধবার , ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অপরাধ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আবহাওয়া
  4. কর্পোরেট বুলেটিন
  5. কৃষি সংবাদ
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জেলা সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. ধর্ম ও জীবন
  13. নাগরিক সংবাদ
  14. পদ্মাসেতু
  15. পাঁচমিশালি
আজকের সর্বশেষ সব খবর

মা ও দুই ছেলে হত্যার রহস্য উন্মোচন, মূল হোতা গ্রেপ্তার!

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
অক্টোবর ৩, ২০২২ ৯:০৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মা ও দুই সন্তান হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে এ হত্যা মামলার একমাত্র আসামি তাঁত শ্রমিক আইয়ুব আলী ওরফে সাগরকে (২৮) গ্রেফতার করা হয়েছে।

রোববার (৩ অক্টোবর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ট্রিপল মার্ডারের আদ্যপান্ত ঘটনার বিবরণ দেন পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মণ্ডল। গ্রেফতার আইয়ুব আলী ওরফে সাগর উল্লাপাড়া উপজেলার নন্দিগাঁতী গ্রামের মৃত মোকছেদ মোল্লার ছেলে।

তিনি বলেন, গত বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেলে বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়া বেড়া ইউনিয়নের মবুপুর গ্রামের নিজ ঘর থেকে রওশন আরা (২৯), তার দুই ছেলে জিহাদ (১০) ও মাহিন (৩) এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় নিহত রওশন আরার ভাই নুরুজ্জামান জামাল বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একটি চৌকস টিম গঠন করা হয়। রোববার (২ অক্টোবর) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে থেকে আসামি আইয়ুব আলী ওরফে সাগরকে গ্রেফতার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরও বলেন, গ্রেফতারের পর তাঁতশ্রমিক আইয়ুব আলী ওরফে সাগরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, নিহত ভিকটিম রওশন আরা তার সৎ ভাগ্নি। তাঁতের পেশার আয় দিয়ে সংসার না চলায় গত দেড় বছরের মধ্যে চারটি এনজিও থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ক্ষুদ্র ঋণ নেন আইয়ুব আলী। সংসার চালানোর পাশাপাশি ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন। এ নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে তার সৎ ভাগ্নি রওশন আরার দ্বারস্থ হন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি রওশন আরার কাছে এসে টাকা ধার চান। কিন্তু রওশন আরা বলেন, তার কাছে টাকা নেই। আসামি আইয়ুব আলী রওশন আরার ঘরে থাকা চারটি ট্রাঙ্ক দেখে ধারণা করেন এর ভেতরে টাকা আছে। তাই তিনি চুরির সিদ্ধান্ত নেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর আবারও তিনি রওশনারার বাড়িতে আসেন। রাতে তাদের বাড়িতে থেকেও যান। সবাই একসঙ্গে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ার পর আইয়ুব আলী চাবি নিয়ে ট্রাঙ্ক খুলে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে রওশন আরা নড়চড়া করলে, আইয়ুব আলী ভাবেন হয়তো চুরি দেখে ফেলেছেন তিনি। তখনই পাথরের শীল দিয়ে ভাগ্নির বুকে সজোরে আঘাত ও পরে গলাটিপে হত্যা করেন। এরপর তিন বছর বয়সী ছোট শিশু মাহিন জেগে উঠলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন এবং অপর শিশু জিহাদ জেগে উঠলে তাকেও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন আইয়ুব। তিনজনকে হত্যার পর ঘরের চারটি ট্রাঙ্ক খুলে টাকা খুঁজতে থাকেন। কিন্তু কোনো প্রকার টাকা-পয়সা পান না। পরে ভোরের আজান হলে বাইরের দরজায় শিকল দিয়ে পালিয়ে যান তিনি।

জানা যায়, নিহতের স্বামী বহু বিবাহে জড়িত, কয়েকদিন আগে তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীর মামলায় জেল খেটে জামিনে বের হয়েছেন। নিহত রওশন আরার দুই ছেলেকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকতেন। তার স্বামী আরেক স্ত্রীর সঙ্গে অন্যত্র বসবাস করেন।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- news.jagobulletin@gmail.com