ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং দেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্প ও তিস্তা নদীর অববাহিকা পরিদর্শন করেছেন।
আজ তিস্তা পরিদর্শনে এসে চীনা রাষ্ট্রদূত তিস্তাপাড়ের সার্বিক পরিস্থিতি সরেজমিনে ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন দ্রুত আলোর মুখ দেখবে।
তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সবদিক দিয়ে পরিবর্তন ঘটবে এই এলাকার। জীবন মান উন্নয়ন, অর্থনীতি, প্রকৃতি ও পরিবেশ, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সর্বোপরি পরিবর্তন ঘটবে মানুষের।’ তিস্তা মহাপরিকল্পনা সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে এবং দুই দেশের সরকারের প্রচেষ্টায় দ্রুত কাজ শুরু হওয়ার চেষ্টাও চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় তার সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চীনা দূতাবাসের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ওয়াং ঝিহং, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিভাগের দ্বিতীয় সচিব জিইউ ঝিকিন।
পরিদর্শনকালে চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেন লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন।
অন্যান্যদের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আনোয়ারুল হক ভুইয়া, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার, নীলফামারী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুর রহমান, লালমনিরহাট জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) টি.এম.এ মমিন, ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশফাউদৌলা প্রিন্স, ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন, হাতিবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, তিস্তা নদীর সার্বিক পানি ব্যবস্থাপনা পুনরুদ্ধার ও ভূপ্রাকৃতিক গঠনে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে একটি মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ হাতে নিয়েছে সরকার। পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রস্তাবিত ৯৮৩ মিলিয়ন ডলার ব্যয় সাপেক্ষ এ প্রকল্পের মাধ্যমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানি প্রাপ্যতা বৃদ্ধি, জমি উদ্ধার, নৌ-চলাচল বৃদ্ধিসহ তিস্তাপাড়ের কৃষি অঞ্চল, শিল্প-কারখানা, আবাসন প্রকল্প, সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলা এবং তিস্তা পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করা, চিলমারী বন্দর থেকে ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারেজ পর্যন্ত তিনটি নৌ-টার্মিনাল তৈরি, নদীর দুই পাড়ে হাইওয়ে তৈরি করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করা হবে।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com