কুমিল্লার মুরাদনগরে ধ্রুবরাজ দেব কর্মকার নামে এক ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ উটেছে এক এএসআই সহ দুই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১৯ অক্টোম্বর) রাতে উপজেলার জাহাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ধ্রুবরাজ দেব কর্মকার ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা মলয়নগর গ্রামের শীব দেব কর্মকারের ছেলে। অভিযুক্ত এএসআই মো: আল-আমিন, কনস্টেবল মো: মতিউর রহমান ও আবু সুফিয়ান মুরাদনগর থানায় কর্মরত রয়েছে।
ধ্রুবরাজ দেব কর্মকার জানায়, বুধবার বিকেলে আমি আখাউড়া স্থল বন্দর হয়ে বৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করি কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় আমার এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাবার জন্য। এসময় আখাউরা থেকে মুরাদনগর পৌঁছাতে রাত ১১টা বেজে যায়। তখন আমার আরেক আত্মীয় তিতাস উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: আনিস আমাকে এগিয়ে নিতে মুরাদনগর আসে। পরে আমরা হোমনার উদ্দেশ্যে রওনা করি পথিমধ্যে জাহাপুর এলাকায় পৌঁছালে মুরাদনগর থানা পুলিশ আমাদের থামার জন্য সংকেত দেয়। এসময় আমাদের গাড়িতে থেকে নামিয়ে ব্যপক তল্লাশি করে তখন আমার সাথে ভারত থেকে বৈধ উপায়ে আনা দুই বোতল মদ পায় পুলিশ। এসময় পুলিশ আমার হাতে হাতকড়া লাগিয়ে ফেলে তখন আমি পুলিশকে বলি আমার পাসপোর্টে ভারতীয় পর্যটক হিসেবে দুই বোতল মদ খাওয়ার জন্য বহন করতে পারব এমন অনুমতি রয়েছে। তখন পুলিশ ও দুই কনস্টেবল বলে আমাদের গ্রেফতার করা হবে এবং ওইসময় পুলিশ নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার কাছ থেকে ২ হাজার টাকা ও ১ বোতল মদ রেখে আমাদের ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে এএসআই আল-আমিনের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে বিস্তারিত বলা যাবে না। আপনি আমার সাথে দেখা করেন সরাসরি কথা বলি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) পিযুষ চন্দ্র দাশ বলেন, এ বিষয়ে আমার কোন জানা নেই। বিষয়টির ব্যপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com