পঞ্চগড় জেলায় প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক রোগীর সংখ্যা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যাও কম নয়। ফলে নানা কারনে এসকল রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাত ব্যাথা, প্যারালাইসিস রোগীর সংখ্যা আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসকল রোগীর মানসম্মত চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য সরকারি ও বেসরকারি আবাসিক কোন চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র নেই।
অনাবাসিক চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র অপ্রতুল্য। যেতে হয় পার্শ্ববর্তী বিভাগীয় শহর রংপুরে। সেখানে গিয়ে ব্যয়বহুল এই চিকিৎসাসেবা সকলে গ্রহণ করতে পারে না। ফলে রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৫’শ কিলোমিটার দুরে এই জেলা মৌলিক চিকিৎসা সেবা থেকে বহু বছর পেছনে পড়ে আছে।
সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে ১২ হাজার নিহত হয় আর আহত হয় প্রায় ২০ হাজার এদের বেশিরভাগ শিশু। দেশে ২.৪ শতাংশ মানুষ শারীরিক, মানসিক ও যে কোন ধরণের প্রতিবন্ধীতার শিকার। এদের অধিকাংশই পুরুষ। ২০১৮ সালে সরকার রিহ্যাবিলিটেশন আইন পাশ করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত আইনটি মাঠ পর্যায়ে কার্যকর হচ্ছে না। এ আইনটি কার্যকর হলে প্রান্তিক পর্যায়ে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা সেবাটি সহজ সাধ্য হতো।
পঞ্চগড় জেলায় ফিজিওথেরাপি ও মেডিকেল টেকনোলজি ইনস্টিটিউট নেই। অবিলম্বে পঞ্চগড়ে বিশেষায়িত হাসপাতাল ও প্রতিবন্ধী পুর্নবাসন কেন্দ্র এবং উল্লেখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে পঞ্চগড় টুনিরহাট শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আনিছুর রহমান প্রধান ও মোঃ শাহাজালাল স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি ২৫ অক্টোবর দেন। এসময় জেলা প্রশাসক মোঃ জহুরুল ইসলাম বলেন, আমি যথানিয়মে পঞ্চগড়বাসীর মৌলিক চাহিদার বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিব।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com