পাগল নামটা শুনলেই কেমন যেন একটা ভয় কাজ করে। আমরা পাগলকে সবাই ভয় পাই,কারন পাগল যা খুশি তাই করতে পারে । সেজন্যই পাগল একটা ভীতিকারক শব্দ। বিভিন্ন কারণেই পাগল আমরা পছন্দ করি না। তবে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে দেখা মিললো ব্যতিক্রম একজন পাগল প্রেমীর। যিনি দিন শেষে প্রতিনিয়ত বের হন পাগলের খোঁজে।
প্রায় প্রতিনিয়ত দেখা যায় হাতে ঝোলানো খাবারের ব্যাগ, আর শীত নিবারণের গরম বস্ত্র নিয়ে পাগলের মতো উঁকি দিয়ে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পাগল খুঁজে বেড়ায় পৌর শহরের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মানবিক মানুষ আজাদুল ইসলাম। তিনি বলেন, যেহুতু পাগলরা অবুঝ, অবহেলিত৷ তাদের কেউ খোঁজ রাখে না ৷ স্কুলে পড়েছি জীবে প্রেম করে যেই জন সেইজন সেবিছে ঈশ্বর ৷ স্রষ্টার কাছে পৌঁছতে গেলে আগে মানবের সাথে প্রেমকরতে হবে তাই তাদের সেবা করতে পারলে অনেক তৃপ্তি পাওয়া যায় ৷
মধ্যরাতে তিনজন পাগল পাওয়া গেলেও তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তারা কথা বলেননি। তবে পলাশবাড়ী পৌর শহরের সর্বজন পরিচিত ইসমাইল পাগলা এক প্রশ্নের জবাবে বলেন খাওয়ার কোন চিন্তাই নাই, সারাজীবন আজাদুল খাওয়াবে। আমি বসে বসে খাবো।
পাগল-প্রেমী মানবিক আজাদুল বলেন প্রতিদিন এদেরকে খুঁজে বের করতে হয়। এদের মধ্যে দু-এক জনকে নির্ধারিত স্থানেই পাওয়া যায়। যে কটা পাগল পাই তাদের সবাইকে খাবার দিয়ে তবেই বাসায় ফিরি। এদেরকে না খাইয়ে নিজে খাইতে পারিনা।
উল্লেখ্য আজাদুল ইসলাম সরকার পলাশবাড়ী উপজেলা রোডস্থ ৪নং ওয়ার্ড পৌর শহরের স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ পলাশবাড়ী উপজেলা শাখার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার বর্তমান সাধারণ সম্পাদক, সাবেক কলেজ ছাত্র সংসদ জিএস এবং আজাদ পরিবহনের স্বত্ত্বাধিকারী।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com