মাদারীপুরের ডাসারে মোঃ শামীম আকন নামে এক কারারক্ষীর বিরুদ্ধে সরকারি চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া। এমন প্রতারণার ঘটনা জানাজানি হলে পুরো এলাকাজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। কারারক্ষী শামীম আকন উপজেলার কাজীবাকাই ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজপাড়া গ্রামের আবুল আকনের ছেলে। এবং সে বর্তমানে ঢাকার একটি কারাগারে কারারক্ষী হিসেবে কর্মরত আছেন। এদিকে এই ঘটনায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছে ভূক্তভোগী। তবে ওই টাকা হামিদুল নামে একজন পুলিশ সদস্যের কাছে দিয়েছেন বলে দাবী শামীম হোসেনের পরিবারের। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার।এলাকা ও ভূক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ডুমুরিয়া গ্রামের তোতা সরদারের ছেলে অলিল সরদার ও শাহীন সরদারকে চাকুরী দেওয়ার জন্য বিভিন্ন লোকজনের সাথে যোগাযোগ করেন তোতা সরদার। পরে ওই কারারক্ষী শামীম হোসেন তোতা সরদারের দুই ছেলেকে চাকুরী দিয়ে দিবে বলে বিশ লক্ষ্য টাকা দাবি করেন তোতা সরদারের কাছে। ছেলেদের চাকুরীর প্রলোভনে পরে প্রায় দুই বছর আগে ওই কারারক্ষীর দাবিকৃত টাকা পরিশোধ করেন বলে জানিয়েছেন তোতা সরদার। কিন্তু তাদের কারো চাকুরী হয়নি। পরে বার বার সময় নিয়েও টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করছেন কারারক্ষী শামীম হোসেন। টাকা ফেরত দিতে চাঁপ প্রয়োগ করেলে তোতা সরদারকে ২০লক্ষ্য টাকার একটি চেক ও স্টাম্প দেন কারারক্ষী শামীম হোসেন। পরে উপায়অন্ত না পেয়ে ওই কারারক্ষী শামীম হোসেনকে আসামী করে বরিশাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন ভূক্তভোগী তোতা সরদার।মামলার বাদী ভূক্তভোগী তোতা সরদার বলেন, আমার দুই ছেলেকে সরকারি চাকুরী দেয়ার জন্য আমি কারারক্ষী শামীম আকনের কাছে ২০ লক্ষ্য টাকা দিয়েছি। সে চাকুরীও দেয়নাই এবং সে আমার টাকাও ফেরত দেয়না। তাই আমি তার নামে মামলা করেছি। আমি তার প্রতারনার বিচার চাই।কারারক্ষী শামীম হোসেনের স্ত্রী বলেন, আমরা টাকা এনে হামিদুল স্যারের কাছে দিয়েছি। হামিদুল স্যার ও আমার স্বামী একই সাথে চাকুরী করে।অভিযুক্ত কারারক্ষী শামীম আকন বলেন, আমি তোতা সরদারের কাছ থেকে চাকুরী দেয়ার কথা বলে ১২ লক্ষ্য টাকা এনেছি। আমি তার টাকা ফেরত দিয়ে দিব।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com