উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের আদেশ অবমাননা করে কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নিজের রাজত্ব চালাচ্ছে নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সহকারী হযরত আলী।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বরে পরিচালক স্বাস্থ্য ময়মনসিংহ এক আদেশের মাধ্যমে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী মোঃ হযরত আলীকে সাময়িক ভাবে ষ্টোর কিপার হিসাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। এরপর থেকেই শুরু হয় হযরত আলীর অনিয়ম রাতারাতি তিনি কোটিপতি বনে যান দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে তিনি অনিয়মের পাহাড় হিসাবে গড়ে তোলেন। টেন্ডারবাজি, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের ক্ষমতা দেখিয়ে বিভিন্ন হয়রানি, মিথ্যার আশ্রয়, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণ,নিয়মিত অফিস না করা, উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করে চাকুরীবিধি ও শৃঙ্খলা পরিপহী কাজে লিপ্ত সহ নানান অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা সহ নানা অনিয়মের জন্য ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের ১৪ তারিখে তৎকালিন দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মামুনুর রহমান তাকে দূরবর্তী কোন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলির জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন কিন্তু তখনও হযরত আলী সবকিছুকে মেনেজ করে সে স্থানেই বহাল থাকে। এছাড়াও টেন্ডার এ অনিয়মের কারনে নেত্রকোণার সিভিল সার্জনসহ হযরত আলীকে অভিযুক্ত করে দুর্গাপুর কোর্টে ৩২৫/২০২২ নাম্বার অন্যপ্রকার মামলা করেন দুর্গাপুর উপজেলা কমপ্লেক্সের বর্তমান ঠিকাদার স্বপন কুমার ঘোষ নামের একব্যাক্তি।
অপরদিকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী মোঃ হযরত আলীকে সাময়িক ভাবে একই প্রতিষ্ঠানে ষ্টোর কিপার চলতি দায়িত্ব পালন বাতিল করে পূর্বক মূলপদ স্বাস্থ্য সহকারী কর্মস্থলে যোগদানের আদেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে সহকারি পরিচালক ( প্রশাসন-১) ডাঃ মোহাম্মদ মাইনুল হক খান। কিন্তু নির্দেশ প্রদানের ২মাস ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও আদেশকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে নিজের রাজত্ব চালাচ্ছে হযরত আলী। এদিকে দুইদিন সকাল ১১টা পর্যন্ত সাংবাদিকগন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দাড়িয়ে থেকেও অফিসে উপস্থিত পাওয়া যায়নি হযরত আলীকে। অদ্য ০৩/১২/২২ ইং তারিখ পর্যন্ত আদেশটি বাস্তবায়ন হয়নি এমনটাই জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানায়, হযরত আলী পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের এক সচিবের নাম ও বিক্রি করে সকলকে ভয় দেখান। তিনি নিয়মিত অফিস করেন না,অফিসেরর সময়ে তাকে তার রুমে পাওয়া যায়না। যতটুকু সময় অফিসে থাকেন পা উপড় পা তোলে হেলান দিয়ে বসে থাকেন। এছাড়াও কেউ সেবা নিতে গেলে মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করে ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেন। তার অত্যাচারে সকল সহকর্মীরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন।
হযরত আলী ষ্টোর কিপারের যাবতীয় দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার কথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এসএসিএমও স্বদেব সরকারকে। দায়িত্ব পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে স্বাদের সরকার বলেন, দায়িত্ব আমাকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য হযরত আলীকে বলা হয়েছিলো। এখন পর্যন্ত দায়িত্ব বুঝে পায়নি।
কর্তৃপক্ষের আদেশটি বাস্তবায়নের ব্যাপারে জানতে চাইলে বর্তমান দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ সজিব রায় মুঠোফোনে বলেন, আদেশটি বাস্তবায়ন হয়েছে।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com