পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে এক প্রেমিক প্রেম করে সরকারী রেজিস্ট্রারের কাছে এবং ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ে করার পরও স্বামীর ঘরে ঠাই পাননি নববধু সীমা রায়। স্বামীর ঘরে যেতে না পারায় আর নবদ্বীপ রায়ের পরিবারের নির্যাতন সহ্য করে দুই দিন ধরে বাড়ির আঙ্গিনায় খড়কুটোর মাঝে রাত্রি যাপন করতেছিল।
এনিয়ে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ পায়।
নবদ্বীপ রায়ের পরিবারের সদস্য আর নবদ্বীপ রায়ের অসহ্য নির্যাতন দেখে থাকতে না পেরে এলাকাবাসি বিক্ষুদ্ধ হয়ে পড়ে।
এলাকাবাসি শনিবার সন্ধ্যায় নবদ্বীপ রায়ের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করতে থাকে নববধূ সীমা রায় কে ঘরে তোলার জন্য।
এতে বাধা হয়ে দাড়ান আরেক নববধু বিউটি রানীর বাবা শ্যামল চন্দ্র রায়। শ্যামল চন্দ্র রায় ও এলাকার স্থানীয় লোকজন মুখোমুখি অবস্থান নেন।
বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এনিয়ে এসব ঘটনা ভাইরাল হয়ে পড়লে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ নবদ্বীপ রায়ের বাড়িতে এসে হাজির হন।
পরে পুলিশের উপস্থিতিতে নববধূ সীমা রায় কে ঘরে তুলে নেয়া হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, অপর স্ত্রীকে নিয়ে ঠিকই নবদ্বীপ রায় তার বাড়িতে সংসার করতেছিল কয়েকদিন ধরে। কিন্তু যার সাথে তিন বছর প্রেমের সম্পর্ক করে সরকারি রেজিস্ট্রারের কাছে রেজিষ্ট্রেশন করার পর ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান করে বিয়ে করে তাকে কেন ঘরে তুলবে না।
প্রেমিকা থেকে নববধু সীমা রায়ও এখন নবদ্বীপ রায়ের বিবাহিত স্ত্রী। সীমা দাবি করেন তিনি একটি স্বার্থনেষী মহলের ইন্ধনের কারনে হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন। এখন তিনি স্বামীর ঘরে ঠাই পেয়েছেন।
নবদ্বীপ রায় তার বিবাহিত স্ত্রী সীমা রায় ও বিউটি রানীকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
নবদ্বীপ রায়ের মা জানান, আমার ছেলের দুই স্ত্রীকে নিয়ে আমি খুশি।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com