ঢাকামঙ্গলবার , ৮ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অপরাধ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আবহাওয়া
  4. কর্পোরেট বুলেটিন
  5. কৃষি সংবাদ
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জেলা সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. ধর্ম ও জীবন
  13. নাগরিক সংবাদ
  14. পদ্মাসেতু
  15. পাঁচমিশালি
আজকের সর্বশেষ সব খবর

ভিজিডি চাল বিতরণে নয় ছয় সততা পেয়েছে তদন্ত কমিটি

মোঃ ইসহাক, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
জানুয়ারি ১২, ২০২৩ ৯:০৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দুস্থ মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ভিজিডি (ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট) কর্মসূচির আওতায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে অনলাইনে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১৫ জন নারীর নাম চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

নীতিমালা অনুযায়ী, চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত প্রত্যেক কার্ডধারী প্রতিমাসে ৩০ কেজি চাল পাওয়ার কথা। অথচ ২১ মাসের চাল থেকে বঞ্চিত হয় ১২৬ জন উপকারভোগী। তদন্তে যার সততা মিলেছে।

তদন্ত সূত্রে জানা যায়, রাজিবপুর ইউনিয়নের সুবিধাবঞ্চিত কার্ডধারীদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সানোয়ার রাসেলকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন- উপসহকারী প্রকৌশলী জনস্বাস্থ্য আবুল কায়সার তালুকদার ও মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ্জহুরা।

পরে ২০ নভেম্বর কমিটির সদস্যরা সরেজমিন তদন্ত শুরু করেন। তদন্তের প্রথম দিনেই ১২৪ জন কার্ডধারীর সাক্ষাৎকার নেন, যাদের মধ্যে ২৮ জন চাল পাননি। দ্বিতীয় দিন ২৩ নভেম্বর আরও ১১০ জনের কার্ডধারীর সাক্ষাৎকার নেন, যাদের মধ্যে ২০ জন চাল পাননি। পরবর্তীতে ইউপি সচিব ও ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে ২৬ নভেম্বর ৯ জন কার্ডধারীর সাক্ষাৎকার নেন, যাদের মধ্যে ৭ জন চাল পাননি। ২৯ নভেম্বর ২৫ জন কার্ডধারীর সাক্ষাৎকার নেন, যাদের মধ্যে ২৪ জন চাল পাননি। সাক্ষাৎকারে মোট ৭৯ জন কার্ডধারী ২১ মাসের চাল পাননি বলে তদন্ত কমিটির সদস্যরা জানতে পারেন। আরও ৪৭ জন কার্ডধারীর কোনো হদিস খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি।

এছাড়াও ভিজিডি পরিপত্রে উপকারভোগীদের মাঝে প্রতিমাসে ৩০ কেজি চাল বিতরণের নিয়ম থাকলেও একসঙ্গে তিন মাসের চাল বিতরণের অভিযোগও রয়েছে ভুক্তভোগীদের। উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক মায়া রানী দুঃখজনক। গরিবের নামে বরাদ্দ চাল আত্মসাতের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তিনি।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক সানোয়ার রাসেল জানান, গত ৭ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। উক্ত অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম মুদাব্বিরুল ইসলাম ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল আলী ফকির দায় এড়াতে পারেন না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজা জেসমিন জানান, লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠন করা কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com