
দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আ. খ. ম. আবুবকর সিদ্দীক বলেছেন, “ভাষা আন্দোলনকে আমরা অনেকে শুধু বাহান্নর মধ্যে সীমাবদ্ধ করি। আসলে তো তা নয়। বাহান্নর আরো আগ থেকেই শুরু হয়েছে ভাষা নিয়ে কথা-বার্তা।”
বুধবার সকালে দারুননাজাত একাডেমিতে ২১ শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ ও ‘শিক্ষার্থীর শিক্ষা ও নৈতিক উন্নয়নে অভিভাবকের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আ. খ. ম. আবুবকর সিদ্দীক বলেন, “খুদে শিক্ষার্থীদের সামনে যদি ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর ছবি নিয়ে আসা যেত, যদি প্রিন্সিপ্যাল আবুল কাশেমকে নিয়ে আসা যেত, নূরুল হক ভূঁইয়ার ছবি যদি থাকতো এবং অধ্যাপক আবদুল গফুরের ছবি যদি স্ক্রিনে ভেসে উঠতো তাহলে শিক্ষার্থীরা নতুন কিছু শিখতো, একুশ সম্পর্কে জানতো।
আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা এসব পারি না। তবে চেষ্টা করা উচিৎ। আমরা আশা করি, দারুননাজাত একাডেমি সেই কাজটা করবে।”
‘শিক্ষার্থীর শিক্ষা ও নৈতিক উন্নয়নে অভিভাবকের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে দারুননাজাত একাডেমির সেক্রেটারি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার এ বি এম ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, “আমরা চাই আনন্দের সাথে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করুক। সবাইকে ফার্স্ট হতে হবে এমন কথা নেই। এখন যদি ভালো করে শেখে তাহলেই সে মানুষ হবে। তবে রুটিন ফলো করতে হবে।”
তিনি বলেন, “বাচ্চাদের অধিক সময় দিতে হবে। আমাদের নিজেদের সন্তানদেরকে ভালো মানুষ হওয়ার ট্রেনিং দিতে হবে। অভিভাবক ছাড়া কখনো সন্তান মানুষ হয় না। ছাত্রকে মানুষ করতে হলে শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকের ভূমিকা অপরিহার্য।”
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- news.jagobulletin@gmail.com
