
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার খাটিয়াগছ গ্রামে জমি দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকার আবু তৈয়ব, আলিমুল রাজিসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
আশরাফুল ইসলাম ও তার লোকজন প্রাচীর নির্মাণে বাধা দেওয়ায় তাদেরকেও হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। পরে প্রতিকার চেয়ে তেঁতুলিয়া থানায় ও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান বরাবরে পৃথক ভাবে অভিযোগ দায়ের করে।
তবে পুলিশ ও স্থানীয় বৈঠক বাধা দেন। তাদের বাধা উপেক্ষা করে সীমানা প্রাচীর নির্মান কাজ চলমান রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দুইটি খতিয়ানের ৬৯ শতক জমির বৈধ মালিক আশরাফুল ইসলাম গং। বিবাদীরা সাত আট বছর আগে ওই জমি গায়ের জোরে দীর্ঘদিন যাবৎ জমিতে পাথর উত্তোলন করে। তারা বলেন আমরা চাকুরির সুবাদে ঢাকা রংপুরে থাকার সুযোগে জমি বেদখল দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শুরু করেছে। বাধা-নিষেধ করলে তারা নানা রকম হুমকি প্রদান করছে। এমনকি তারা সীমানা প্রাচীরের নির্মাণের কাজ অব্যাহত রাখে।
পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে থানা-পুলিশ এসে প্রাচীর নির্মাণে বাধা প্রদান করলেও তাদের বাধা উপেক্ষা করে কাজ চলমান রাখে। বিবাদীদের কোন কাগজপত্র না থাকা সত্ত্বেও জমি স্থায়ী ভাবে দখল করার অপ চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। আমরা ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত না হয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে জমি পুনরুদ্ধারের আইনগত প্রতিকার কামনা করছি।
বাদী আশরাফুল ইসলাম জানায়, বাড়ির পাশে জমি হওয়ায় বিবাদীরা কয়েক বছর আগে চলাচলের জন্য নেয়। এখন তারা স্থায়ীভাবে নেওয়ার জন্য সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছে। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও তারা নির্মাণ কাজ চলমান রাখেন। এর আইনগত সুষ্ঠু বিচারের দাবী তুলেন তিনি।
অভিযুক্ত আলিমুল রাজি জানায়, আমরা অনেক আগে থেকেই জমিটির ভোগ দখল করে আসতেছি। ওই জমির বদলে তাদেরকে জমি দেওয়া হয়েছে। তবে জমি বদলের বিষয়টি অস্বীকার করেন আশরাফুল ইসলাম। তেতুঁলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোলেমান আলী জানান, আমরা শুক্রবার বিকেলে দুই পক্ষ নিয়ে স্থানীয় ভাবে বসে আপোষের চেষ্টা করা হয়েছে। কিছু কাগজপত্র কম থাকায় উভয় পক্ষকে সঠিক কাগজ নিয়ে আগামী সোমবার আসার জন্য বলা হয়েছে। তবে আপাতত সীমানা প্রাচীর নির্মাণ স্থগিত রাখার জন্য বলা হয়েছে।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- news.jagobulletin@gmail.com
