নীলফামারীর ডোমার-ডিমলা যাতায়াতের ব্যস্ততম প্রধান রাস্তায় একটি ব্রীজের নাম শৈল্লারঘাট ব্রীজ। যার উপর দিয়ে ট্রাক, ট্রলি, অটো, সিএনজি ও মটর সাইকেলসহ সব ধরনের যানবাহন চলছে প্রতিমুহুর্তেই। কিন্তু আশেপাশের কৃষকদের কাছে ব্রীজটি যেন ধান, ভুট্টা শুকানোর চাতালে পরিনত হয়েছে। কৃষকদের ধান, ভুট্টা শুকানোয় দূর্ঘটনার মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে ব্রীজটি। যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশংকা করছেন বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও সচেতন ব্যক্তিরা। শৈল্লারঘাট ব্রীজটি ডিমলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের রামডাঙ্গায় অবস্থিত।
বৃহস্পতিবার (১২ ই মে) বিকাল পাঁচটায় ব্রীজে গেলে বিভিন্ন পেশার মানুষের কাছে জানা যায়, নিয়ম লঙ্ঘন করে জমি থেকে তুলে বিভিন্ন জায়গায় স্তুপ করে রাখা হয় ভুট্টা। তারপর তিন-চারদিন ধরে তা শুকানো হয়।
ডোমার থেকে আসা ওয়ালিউল্লাহ নামের একজন মোটরসাইকেল চালক বলেন, ব্রীজে নিদিষ্ট গতিতে গাড়ি চালানো যায় না বরং বিপরীত পাশ থেকে কোন বড় বা মাঝারি গাড়ি আসলে ভুট্টার কারনে পাশ কাটিয়ে যাওয়া যায় না। মোটরসাইকেল গ্যাপে দাঁড় না করলে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পরতে হয়। কৃষকেরা নিজ মনে কাজ করতে থাকে। গাড়ি চালকদের সুবিধা অসুবিধা বোঝার সময় তাদের নেই। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে যে কোন মুহুর্তে এখানে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয় আরিফ ইসলাম বলেন, মাটির চেয়ে পাকা ফ্লোরে ধান, ভুট্টাসহ যে কোন শস্য দ্রুত শুকায়। কিন্তু গ্রামে এই ব্রীজটি ছাড়া আর কোথাও পাকা ফ্লোরের ব্যবস্থা নেই। দ্রুত ধান, ভুট্টা শুকানোর সুবিধার্থে কৃষকেরা বিভিন্ন সময় ব্রীজটি ব্যবহার করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মোঃ লাইছুর রহমান বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা বা ব্রীজে ধান, ভুট্টা শুকানো ঠিক নয়। শিগগিরই কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করে এসব বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি জাগো বুলেটিনকে জানাতে ই-মেইল করুন- jagobulletinbd@gmail.com